• facebook
  • twitter
Monday, 12 May, 2025

তৃণমূল নেতা-নেত্রীর উপর হামলা, বোলপুরে চাঞ্চল্য

সুদীপ্ত ঘোষ পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরেই একটি গলির মধ্যে ঢুকে 'নিজের প্রাণ বাঁচান' বলে জানা যায়। এই খবর শহরে ছড়িয়ে পড়তেই চতুর্দিকে হৈ চৈ শুরু হয়ে যায়।

প্রতীকী চিত্র।

তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলীয় কর্মকর্তাদের সম্মেলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আগামী ২০২৬ সালের রাজ্য বিধানসভা ভোটের আগে ভোটার তালিকায় থাকা ভুয়ো ভোটারদের নাম নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। তারপরই বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট ১ মার্চ বোলপুরে দলের জেলা কার্যালয়ে একটি বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে ঠিক হয়েছে যে, এ ব্যাপারে জেলাজুড়ে দলীয় পদাধিকারীরা কাজ করবেন এবং ৮ মার্চ এ নিয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট দলের কাছে পেশ করবে। ওই বৈঠকে অন্যান্যদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা কোর কমিটির সদস্য বোলপুরের সুদীপ্ত ঘোষ।

এই বৈঠক শেষে সুদীপ্ত ঘোষ ও তাঁর স্ত্রী বোলপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষ দলীয় কার্যালয়ে বসে দীর্ঘক্ষণ ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা শেষে রাত ৯টা ১০ মিনিটে তাঁদের বোলপুর-সারদা পল্লীর বাড়ির দিকে আসছিলেন। সেই সময়ই ডা. সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় রোড পেরিয়ে এলাকার কাঁঠালতলায় আসতেই তাঁর উপরে হামলার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। সুদীপ্ত ঘোষ পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরেই একটি গলির মধ্যে ঢুকে ‘নিজের প্রাণ বাঁচান’ বলে জানা যায়। এই খবর শহরে ছড়িয়ে পড়তেই চতুর্দিকে হৈ চৈ শুরু হয়ে যায়। বহু সংখ্যক দলীয় কর্মী চলে আসেন এলাকায়। সুদীপ্ত ঘোষ এবং তাঁর স্ত্রী পর্ণা ঘোষ দলে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী এবং আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত। তাই তাঁকে ‘প্রাণে মারার চেষ্টা’ নিয়ে দলীয় রাজনীতিতে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে। এর আগে কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের দলীয় অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ উপ-প্রধান শেখ মামনের বাড়িতে রাতে বোমা মারার ঘটনা ঘটার পর থেকেই তিনি ‘প্রাণ ভয়ে’ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে যেতে পারছিলেন না। শেষ পর্ষন্ত জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে শেখ মামনকে একজন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী দেওয়ার পর থেকে তিনি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে যাচ্ছেন। সুদীপ্ত ঘোষ দলের জেলা কোর কমিটির সদস্য ছাড়াও বোলপুর পৌরসভার একজন কর্মী। এবার তাঁকেও ‘প্রাণে মারার চেষ্টা’ হওয়ায় তাঁর নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গেল।