আনন্দপুরের ব্যবসায়ী খুনে গ্রেপ্তার হল পলাতক রঞ্জন চক্রবর্তী। হাওড়ার সাঁকরাইল থেকে শুক্রবার শেষ রাতে নিজের বাড়ি থেকেই গ্রেপ্তার হয় অভিযুক্ত রঞ্জন।
গত ৩১ জানুয়ারি রাত ৮টা নাগাদ আনন্দপুরের ব্যবসায়ী সোনু দোকান বন্ধ করে বেরিয়েছিলেন পরিচিত অনুপের সঙ্গে। রাতে বাড়ি ফেরার কথা স্ত্রীকে জানালেও তার পর থেকে আর খোঁজ মেলেনি তাঁর। পরে নিখোঁজ ডায়েরি হয় আনন্দপুর থানায়। জানা যায়, নিখোঁজ হয়েছে অনুপও। এরপরেই গত বুধবার বারুইপুরের খালের ধার থেকে মেলে এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের পচাগলা দেহ। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, সেই দেহ নিখোঁজ হওয়া রঞ্জনের। খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকায় ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে অনুপ মণ্ডল, ওরফে রাজেশ, খোকন বৈদ্য, প্রদীপ নয়াবান এবং এক কিশোরকে। এবার তাদের সূত্র ধরেই গ্রেপ্তার করা হল পলাতক রঞ্জনকে।
Advertisement
তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রথমে গাড়িতে চেপে মদ্যপান করে সকলে মিলে। তারপর নেশাগ্রস্থ অবস্থাতেই সোনুকে গলায় সিটবেল্ট পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। প্রমাণ লোপাট করতে হাত-পা বেঁধে দেহ ফেলা হয় বারুইপুরের খালে। সূত্রের খবর, জুতোর দোকান চালানোর পাশাপাশি মাসখানেক ধরে জমি জায়গার দালালি করছিলেন সোনু। সেই থেকেই আয়ও হচ্ছিল বেশ ভালই। সম্প্রপ্তি আয়ের টাকা দিয়ে ফ্ল্যাটও কিনেছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, সেই রাগ থেকেই খুন করা হয় সোনু রামকে।
Advertisement
Advertisement



