রবিবার ছিল সর্বভারতীয় নিট পরীক্ষা। কিন্তু নিট পরীক্ষা নিতে নিয়ম ভাঙার অভিযোগ উঠেছে শহর বর্ধমানের টাউন স্কুলে। বিদ্যালয়ের স্থায়ী কর্মীকে বাদ দিয়ে একজন অস্থায়ী কর্মীকে স্কুলে পরীক্ষা চলাকালে কাজে লাগানো হয়। ফলে এ নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কিভাবে নিয়ম ভাঙলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। যদিও পরীক্ষা চলাকালে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। স্থায়ী কর্মী নরেন্দ্রনাথ দত্তকে বাদ দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মীকে পরীক্ষার দিন ডিউটি করানো হয়। এ নিয়ে হইচই না হলেও স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষা দপ্তরে রিপোর্ট পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শতবর্ষ প্রাচীন বর্ধমান টাউন স্কুলে ১৯৯৩ সাল থেকে কর্মী হিসাবে কর্মরত নরেন্দ্রনাথ দত্ত। কিন্তু রবিবার নিট পরীক্ষার দিন তাঁকে বাদ দিয়েই একজন কন্ট্রাক্টে কাজ করা কর্মীকে বিদ্যালয়ে থাকতে বলা হয়। আর এ নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কারণ নিট পরীক্ষা পরিচালনাকারী এনটিএ-এর নিয়মে আছে কোনও অস্থায়ী লোকজন নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে কাজ করানো যাবে না। কিভাবে নিয়ম ভাঙা হলো, কেনই বা হলো, সে সব প্রশ্ন উঠেছে বিদ্যালয়ের অন্দরেই। সূত্রের খবর যাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নেওয়া হয় সেই দিব্যেন্দু চক্রবর্তী দুবছর আগে অবসর গ্রহণ করেছেন। এখন তিনি অস্থায়ীভাবে কন্ট্রাক্টে কাজ করেন। কিন্তু যোগ্য হওয়া স্বত্বেও স্থায়ী কর্মী নরেন্দ্রনাথ দত্তকে নেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে নরেন্দ্রনাথ দত্ত বলেন, আমি ১৯৯৩ সাল থেকে বিদ্যালয়ের স্থায়ী কর্মী। পরীক্ষা কেন্দ্রে থাকার ব্যাপারে মৌখিকভাবে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলাম। কিন্তু আমার কথা গ্রাহ্য করা হয়নি। যাকে নেওয়া হয়েছে সম্পূর্ণ নিয়ম ভেঙ্গেই নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।