• facebook
  • twitter
Thursday, 31 July, 2025

বীরভূমে জঙ্গল থেকে তরুণীর দেহ উদ্ধার

তরুণীকে খুন করা হয়েছে, নাকি ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ- তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে সদাইপুর থানার পুলিশ।

বীরভূম জেলার রাধামাধবপুর গ্রামের কাছে জঙ্গল থেকে উদ্ধার হল এক অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর মৃতদেহ। প্রাথমিক তদন্তে গলায় ওড়নার ফাঁস, ছড়িয়ে থাকা জুতো, রুমাল ও জলের বোতল ঘিরে রহস্য দানা বাঁধছে। তরুণীকে খুন করা হয়েছে, নাকি ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ- তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে সদাইপুর থানার পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে রাজগঞ্জ-করমকাল সড়কের ধারে বক্রেশ্বর নীল নির্জন জলাধারের পাশের জঙ্গলে পড়ে থাকতে দেখা যায় তরুণীর দেহ। প্রথমে পথচলতি কয়েকজন বাসিন্দার চোখে পড়ে ঘটনাটি। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। সদাইপুর থানার আধিকারিকরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করেন ও ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।

পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীর বয়স আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ বছর। এখনও পর্যন্ত তাঁর নাম বা পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউই তাঁকে চিনতে পারেননি। তাঁদের অনুমান, তরুণী এলাকার বাইরের কেউ হতে পারেন।

তদন্তকারীদের বক্তব্য, শুক্রবার দুবরাজপুরের ১ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বড় মেলা বসেছিল, যেখানে বহু দূরদূরান্তের মানুষ উপস্থিত ছিলেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, তরুণী ওই মেলায় অংশ নিতে এসেছিলেন। কিন্তু মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বহুটা দূরে, এমন এক নির্জন জঙ্গলে কীভাবে এলেন তিনি, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদেহের পাশে ছড়িয়ে ছিল রুমাল, এক জোড়া জুতো ও জল ভর্তি বোতল। দেহে গলায় ওড়নার ফাঁসের চিহ্ন থাকায় খুনের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। যদিও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ। চলছে ফরেনসিক তদন্ত। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা। ঘটনার নেপথ্যে কী রয়েছে, তা জানতেই এখন অপেক্ষা চূড়ান্ত ময়নাতদন্তের রিপোর্টের।

News Hub