• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

মরা মাছ তুলতে গিয়ে পুকুরে ডুবে মৃত্যু তিন শিশুর

তাদের তড়িঘড়ি উদ্ধার করে লোহাপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।

পুকুরে মাছ ভাসতে দেখে ছুটে গিয়েছিল চার শিশু। কিন্তু তারা জানত না কি বিপদ তাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে। মরা মাছ তুলতে গিয়ে পুকুরে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তিন শিশুর। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে বীরভূমের নলহাটি থানার বারা গ্রামে। ঘটনাটি মেনে নিতে পারছেন না এলাকার মানুষজন।

জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ এলাকারই একটি পুকুর ধারে গিয়েছিল চারজন শিশু। হঠাৎ জলে মরা মাছ ভেসে উঠতে দেখে উত্তেজিত হয়ে ওঠে শিশুমন। সেই মাছ তুলতেই তিনজন শিশু পুকুরের কাছে এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু টাল সামলাতে না পেরে একজন পা পিছলে জলে পড়ে যায়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আরও দু’জন জলে নেমেছিল। কিন্তু তাদের মধ্যে কেউই সাঁতার জানত না। ফলে তারা উঠে আসার চেষ্টা করলেও জলে তলিয়ে যায়। অপর শিশুটি চোখের সামনে এই ঘটনা ঘটতে দেখে প্রথমে ভয়ে কান্নাকাটি শুরু করেছিল। এরপর ধাতস্থ হয়ে ছুটে যায় গ্রামের লোকেদের খবর দিতে। গ্রামবাসীরা জানতে পেরে তৎক্ষণাৎ ছুটে আসে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। তিনজন শিশুরই নিথর দেহ পুকুরের জলে ভেসে উঠেছিল।

Advertisement

তাদের তড়িঘড়ি উদ্ধার করে লোহাপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে নলহাটি ২ ব্লকের বিডিও রজতরঞ্জন দাস এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারা ওই গ্রামে গিয়েছিলেন। এই ঘটনার তদন্তভার রয়েছে নলহাটি থানার লোহাপুর ফাঁড়ির পুলিশের উপর। তাঁরা গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। মৃত শিশুদের নাম নাসরিন খাতুন, নুরানী খাতুন ও শেখ তামিম। মৃত তিন শিশুর মধ্যে শেখ তামিমের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায়। সে বারা গ্রামে মায়ের সঙ্গে মামার বাড়ি বেড়াতে এসেছিল। তাদের দেহ রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

Advertisement