• facebook
  • twitter
Sunday, 14 December, 2025

কলকাতায় ভূপেন হাজরিকা ও জুবিন গার্গকে শ্রদ্ধাঞ্জলি

ভূপেন হাজরিকার সঙ্গে কাজের স্মৃতি উল্লেখ করে অশোক ভদ্র বলেন, ‘ভূপেন হাজরিকার গান আসলে মানুষের মানবতার সুর— যা আজও সমান প্রাসঙ্গিক।’

সুধাকণ্ঠ ড. ভূপেন হাজরিকার জন্মশতবর্ষ ও জুবিন গার্গের জন্মমাস উপলক্ষে গত ২৯ নভেম্বর, শনিবার কলকাতার অসম ভবন প্রেক্ষাগৃহে শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল আসাম সোশিও লিটারারি (এএসএল) ক্লাব কলকাতা। এই স্মরণসন্ধ্যা ভরে ওঠে সংগীত, আলোচনাচক্র ও স্মৃতিচারণায়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ক্লাবের সম্পাদিকা পিকু সাহা অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। দুই পুরোধা শিল্পীর প্রতিকৃতির সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ক্লাবের অধ্যক্ষা রেখা চলিহা বাসু। উপস্থিত ছিলেন সংগীত পরিচালক অশোক ভদ্র ও গায়ক-সুরকার প্রিয় চ্যাটার্জি। ক্লাবের সদস্যরা সমবেত কণ্ঠে অত্যন্ত জনপ্রিয় ‘বিস্তীর্ণ পররে’ গানটি পরিবেশন করেন। তৈরি হয় এক আবেগঘন মুহূর্ত।

Advertisement

ভূপেন হাজরিকার সঙ্গে কাজের স্মৃতি উল্লেখ করে অশোক ভদ্র বলেন, ‘ভূপেন হাজরিকার গান আসলে মানুষের মানবতার সুর— যা আজও সমান প্রাসঙ্গিক।’ জুবিন গার্গ সম্পর্কে তিনি জানান, ‘তাঁর প্রয়াণ অসম ও বাংলার সংগীতের ক্ষতি।’ প্রিয় চ্যাটার্জি জানান, তাঁর বহু জনপ্রিয় বাংলা গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন জুবিন গার্গ। তিনি বলেন, ‘অসম ও বাংলাকে সংগীতের সুরে যুক্ত করেছিলেন এই সহৃদয় শিল্পী।’

Advertisement

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শিল্পী সংসদের সাধারণ সম্পাদক সদন বাগচি ও লেখক অরিন্দম আচার্য। তাঁদের মতে, ভূপেন হাজরিকা ও জুবিন গার্গ ছিলেন অসম-বঙ্গ সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মূল সেতু।
এই সন্ধ্যায় সংগীত পরিবেশন করেন পরিমল দাস, সোনালী গোস্বামী, সৈকত পত্রনবীশ, কস্তুরী গোস্বামী, মুন তালুকদার, দিলীপ কর্মকার, বিদ্যুৎপল গগৈ, ইন্দ্রাণী দে, মাহিকা ও করিশ্মা। নৃত্য পরিবেশন করেন সিদ্ধিক্ষা, সমীক্ষা, বিক্রম, হিমনিশ কাশ্যপ, সুস্মিতা সোণোয়াল এবং মনীষা শর্মা বরঠাকুর।

উল্লেখযোগ্য, ভূপেন হাজরিকা একসময় এই ক্লাবের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এদিন অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন বেতারশিল্পী ও ভারত-চিন যুদ্ধের সময়কার সংবাদ পাঠক নেকিব আহমেদ। সবশেষে জুবিন গার্গের জনপ্রিয় গান ‘মায়াবিনী’-র মাধ্যমে শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে আবেগময় এই স্মরণসভা সমাপ্ত হয়।

Advertisement