কালীপুজোকে কেন্দ্র করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাজি বাজার বসছে বিগত কয়েক বছর ধরে। বাজার বসে টালা, কালিকাপুর, বেহালা এবং শহীদমিনার এলাকায়। তবে, সামনে সবুজ বাজির পসরা সাজিয়ে বসলেও অনেকক্ষেত্রেই গোপনে নিষিদ্ধ বাজি বিক্রির অভিযোগ ওঠে বাজির দোকান মালিকদের উপর। ঠিক সেই কারণেই এবার বাজি বাজার পরিচালনায় কঠোর নিয়ম মেনে চলার নির্দেশ দিল কলকাতা পুলিশ। শনিবার পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে বাজি বাজারের উদ্যোক্তাদের স্পষ্ট জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র সরকার অনুমোদিত সবুজ বাজি বিক্রি করা যাবে। পাশাপাশি, দুর্ঘটনা এড়াতে দুটি দোকানের মধ্যে ন্যূনতম ৯ ফুটের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
তা ছাড়া, স্টল তৈরিতে টিন এবং ফায়ারপ্রুফ ত্রিপল ব্যবহার করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে, পর্যাপ্ত দমকলের গাড়ি এবং অ্যাম্বুলেন্সও বাজার এলাকায় মোতায়েন রাখতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে লালবাজারের তরফ থেকে। তবে সমস্ত নিয়ম যথাযথভাবে মানা হয়েছে কিনা তা আগে পরীক্ষা করবে পুলিশ, তারপরই ক্রেতাদের জন্য বাজার খুলে দেওয়া হবে।
Advertisement
কলকাতা পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘গত বছর বাজি বাজারে সবুজ বাজির আড়ালে অবৈধ বাজি বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল। সেই কারণে এবছর অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে’।
Advertisement
তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র সবুজ বাজি বিক্রির কথা বলা হলেও পরিবেশকর্মীরা প্রশ্ন তুলেছেন, আদৌ তা কতটা কার্যকর হবে। প্রসঙ্গত, রাজ্যে হাতে গোনা কয়েকজন ব্যবসায়ীই নিয়ম মেনে সবুজ বাজি তৈরি করেন। ফলে, নতুন লাইসেন্সধারীদের পক্ষে চারটি বাজারে পর্যাপ্ত সবুজ বাজি সরবরাহ করা কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
কলকাতা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সমস্ত নিয়ম মেনেই বাজার পরিচালনা করতে হবে এবং সেগুলি ঠিকভাবে পালিত হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।
Advertisement



