একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, এই বছর ভারতে সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান (এসআইপি)-এর সামগ্রিক নিট প্রবাহে ২৩৩% প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এর কারণ ভারতীয় অর্থনীতি স্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থার মধ্যে স্থিতিস্থাপক হয়ে রয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মোট নিট প্রবাহ ছিল ৯.১৪ লক্ষ কোটি টাকা। আইসিআরএ অ্যানালিটিক্সের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালে তা হয়েছে ২.৭৪ লক্ষ কোটি টাকা, যা ২৩৩% বৃদ্ধির সমতুল্য।
এবছর নভেম্বরের শেষের দিকে নিবন্ধিত নতুন এসআইপি-র সংখ্যা বেড়ে ৪৯.৪৭ লক্ষ হয়েছে, যা নভেম্বর ২০২৩-এ ৩০.৮০ লক্ষ ছিল।
এছাড়াও, নভেম্বরে এসআইপি অ্যাসেট আন্ডার ম্যানেজমেন্ট (এইউএম) দাঁড়িয়েছে ১৩.৫৪ লক্ষ কোটি টাকা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এটির পরিমাণ ২০২৩ সালে ৯.৩১ লক্ষ কোটি টাকা ছিল। ভারতীয় মিউচুয়াল ফান্ড (এমএফ) শিল্পে গত এক বছরের নিট প্রবাহে ১৩৫% বেশি বৃদ্ধি দেখা গেছে এবং নিট এইউএম (অ্যাসেটস আন্ডার ম্যানেজমেন্ট) প্রায় ৩৯% বৃদ্ধি পেয়েছে।
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী বছরগুলিতে ভারত বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি উজ্জ্বল স্থানে পৌঁছবে।
আইসিআরএ অ্যানালিটিক্সের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড মার্কেট ডেটা অ্যানালিস্ট অশ্বিনী কুমার বলেন, ‘ভারতীয় অর্থনীতির কাঠামোগত প্রবৃদ্ধি অক্ষুণ্ণ রয়েছে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত একটি উজ্জ্বল স্থান দখল করতে প্রস্তুত। দেশীয় মিউচুয়াল ফান্ড আগামী বছরগুলিতে বহুগুন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে, মিউচুয়াল ফান্ড শিল্পে মোট প্রবাহ ১৩৫.৩৮% বৃদ্ধি পেয়ে নভেম্বর ২০২৪ সালে ৬০,২৯৫.৩০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যার পরিমাণ নভেম্বর ২০২৩ সালে ২৫,৬১৫.৬৫ কোটি টাকা ছিল। মজার বিষয় হল, গত বছরের নভেম্বরে নিট এইউএম ৪৯.০৫ লক্ষ কোটি টাকা ছিল, যা চলতি বছরের নভেম্বরে ৬৮.০৮ লক্ষ কোটি টাকা ছুঁয়ে ঐতিহাসিক মাইলফলক অতিক্রম করেছে।’
যদিও সমস্ত তহবিল ভারতে একটি শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি দেখছে, ইক্যুইটি বিভাগের অধীনে বড় ক্যাপ তহবিলের প্রবাহ সর্বোচ্চ ছিল, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় নভেম্বর ২০২৪ সালে প্রায় ৭৩১% বৃদ্ধি পেয়ে ২৫৪৭.৯২ কোটি টাকা হয়েছে। কুমার বলেন, ‘বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার কারণে দেশীয় বাজারে অস্থিরতা বৃদ্ধি হলেও, আগামী দিনগুলিতে বড় এবং মিড-ক্যাপ তহবিল বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে উৎসাহ তৈরি হতে পারে। স্মল-ক্যাপ এবং মিড-ক্যাপ ফান্ডগুলি, যেগুলির এইউএম অবিচ্ছিন্নভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, সেগুলির প্রতি মাঝারি এবং দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ধরে রাখার সম্ভাবনা রয়েছে।’