বেঁধে দেওয়া হল ৭১টি ওষুধের দাম। তার মধ্যে রয়েছে অনেক জীবনদায়ী ওষুধও। ক্যানসার, ডায়াবিটিস-সহ একাধিক অত্যাবশ্যকীয় ওষুধও রয়েছে এই তালিকায়। সম্প্রতি গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করে নতুন এই মূল্য জানিয়ে দিল কেন্দ্র সরকার। ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা ‘ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (এনপিপিএ)-র পক্ষ থেকে এই মূল্য স্থির করে দেওয়া হয়েছে। এই সংস্থার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণ বিধি মেনে এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। মেলাস্ট্যাটিক স্তন ক্যানসার এবং গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারের ওষুধও এই তালিকায় রয়েছে। সম্প্রতি নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ‘রিলায়েন্স লাইফ সায়েন্সেস’ সংস্থা ‘ট্রাস্টুজুমাব’ নামে যে ওষুধ তৈরি করে, তা মেলাস্ট্যাটিক স্তন ক্যানসার এবং গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারের রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। জরুরি এই ওষুধটির দাম বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। খুচরো বাজারে ভায়াল পিছু ওই ওষুধের দাম হচ্ছে ১১ হাজার ৯৬৬ টাকা। আবার পেপটিক আলসারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ, যা ‘টরেন্ট ফার্মাসিউটিক্যাল্স’-এর তৈরি– ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন, এসোমেপ্রাজল ও অ্যামোক্সিসিলিনের মিশ্রণে তৈরি প্রতিটি ওষুধের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬২ টাকা ৫০ পয়সা। এছাড়া ডায়াবিটিস প্রতিরোধের ২৫টি ওষুধ, প্যারাসিটামল ওষুধের দামও বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
গত ২০২৪ সালের অক্টোবরেও কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অ্যাজমা, গ্লুকোমা, থ্যালাসেমিয়া, যক্ষ্মা ও মানসিক অসুস্থতার ওষুধ-সহ আটটি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম অন্তত ৫০ শতাংশ বা তারও বেশি বৃদ্ধিতে অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্রের এই সংস্থা। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় সংস্থার এই মূল্য নির্ধারণের পর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন।
প্রসঙ্গত খুচরো বাজারে ওষুধের দাম কত হবে, তা নির্ধারণ করে কেন্দ্রীয় সংস্থা ‘ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি’র (এনপিপিএ)। এর আগে গত এপ্রিলে দেশে ৭৪৮টি ওষুধের দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল। সেই তালিকায় ছিল প্যারসিটামল, কাশি, সুগার, বাত, কৃমি, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ঘুম, ভিটামিন, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সাধারণ রোগের ওষুধ থেকে গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিবায়োটিক-সহ বিভিন্ন রোগের ট্যাবলেট ও ইঞ্জেকশন। এইসব ওষুধগুলি দেশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অত্যাবশ্যকীয়। পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির সূচক মেনে এই ওষুধগুলির ‘এমআরপি’-র উপরে ১.৭৪ শতাংশ হারে দাম বৃদ্ধিতে অনুমতি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা ‘ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি’র (এনপিপিএ)।