অ্যাসোচাম (The Associated Chambers of Commerce & Industry of India) সোমবার বলেছে, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের (এমএসএমই) আরও ক্ষমতায়ন প্রয়োজন। সহজে ব্যবসা নিশ্চিত করার জন্য, দক্ষতার বিকাশ ও প্রশিক্ষণের পাশাপাশি, পরিকাঠামো, টাউনশিপ এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রয়োজন রয়েছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের সঙ্গে প্রাক-বাজেট বৈঠকে, শীর্ষ বাণিজ্য চেম্বার এমএসএমই এবং ডেটা সেন্টার, ডেটা হোস্টিং, ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের মতো আধুনিক ব্যবসাগুলিতে সম্ভাব্য করের সুযোগ বাড়ানো-সহ বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার জন্য বেশ কিছু পরিকল্পনার কথা উঠে আসে।
অ্যাসোচামের সভাপতি সঞ্জয় নায়ার-এর মতে, ‘এটি পূর্বনির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী আয় গণনা করে, করদাতাদের সম্মতিক্রমে কর লাগু করবে। এর ফলে বিরোধ এবং মামলা মোকদ্দমার আশঙ্কা হ্রাস পাবে।’
Advertisement
তিনি সারা দেশে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ (এমএসএমই)-গুলির জন্য সমন্বিত পরিকাঠামো গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন।
Advertisement
এই পরিকাঠামো অনুযায়ী শহরগুলিতে পরীক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সাধারণ পরিষেবা প্রদানকারী বিভাগ, আবাসন, স্কুল, হাসপাতাল, শ্রম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং রপ্তানি সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। জামানত-মুক্ত ঋণের নীতি থাকা সত্ত্বেও, এমএসএমই-গুলি এখনও ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। ব্যাঙ্ক প্রায়শই ব্যক্তিগত সম্পত্তির জামানতের জন্য অনুরোধ করে এবং উচ্চ সুদের হার ধার্য করে, যা ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। নায়ার বলেন, ‘এই ধরনের শিল্পোদ্যোগকে উৎসাহিত করতে, ব্যাঙ্কগুলিকে পর্যায়ক্রমে জামানত-মুক্ত ঋণের সংখ্যা এবং পরিমাণ প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক করতে হবে।’
Advertisement



