অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন পণ্যও সরবরাহ করতে দেওয়া হোক, আর্জি অ্যামাজন, ফ্লিপকার্টের

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত মাসে যখন লকডাউন ঘোষণা করেন, তখনই জানিয়ে দেওয়া হয়, অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন পণ্য ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিক্রি করা যাবে না।

Written by SNS New Delhi | April 28, 2020 5:19 pm

অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন পণ্যও সরবরাহ করতে দেওয়া হোক, আর্জি অ্যামাজন, ফ্লিপকার্টের। (Photo: Getty Images)

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত মাসে যখন লকডাউন ঘোষণা করেন, তখনই জানিয়ে দেওয়া হয়, অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন পণ্য ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিক্রি করা যাবে না। কিন্তু ই-কমার্সের দুই বৃহৎ কোম্পানি অ্যামাজন ইন্ডিয়া ও ফ্লিপকার্ট সরকারের কাছে আর্জি জানিয়ে বলেছে, দীর্ঘ লকডাউনের মধ্যে মানুষের এমন অনেক জিনিস প্রয়োজন যা হয়তো সেই অর্থে অত্যাবশ্যক নয়। তাদের যেন সেগুলি সরবরাহ করার অনুমতি দেওয়া হয়। তারা নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিধি মেনেই সেগুলি সরবরাহ করবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই পণ্যগুলি বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে।

অ্যামাজন ইন্ডিয়া বলেছে, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে দেশজোড়া লড়াইয়ে আমাদেরও অংশ নিতে দেওয়া হোক। ফ্লিপকার্ট বলেছে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে সাহায্য করতে পারে ই-কমার্স। ওইসব কারখানায় যে পণ্যগুলি তৈরি হয়ে পড়ে আছে, লকডাউনের জন্য বিক্রি করা যাচ্ছে না, সেগুলি ই-কমার্সের মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে যেতে পারে।

এখন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে খাবার, ওষুধ ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ করা যেতে পারে। কিন্তু সরকার থেকে একাধিকবার বলে দেওয়া হয়েছে, নির্দিষ্ট পণ্যগুলি বাদে ই-কমার্স সংস্থাগুলি যেন আর কিছু বিক্রি না করে।

গত শনিবারও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়ে দেয়, ই-কমার্স কোম্পানিগুলি কেবল অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বেচতে পারবে। কোভিড ১৯’এর অতিমহামারী ঠেকাতে গত ২৫ মার্চ থেকে ভারতে শুরু হয়েছে লকডাউন। আগে স্থির হয়েছিল, লকডাউন চলবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনা করে লকডাউন আগামী ৩ মে অবধি চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

একটি সূত্রের খবর, তার পরেও যে গোটা দেশে লকডাউন উঠে যাবে এমন নয়। যে জায়গাগুলি করোনার হটস্পট হয়ে উঠেছে, সেখানে আগের মতোই কড়াকড়ি থাকবে। কিন্তু যেখানে তুলনামূলকভাবে করোনার প্রকোপ কম, সেখানে ধীরে ধীরে তোলা হবে বিধিনিষেধ।