• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

আগামী দু’বছর দেশে বাড়বে বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের চাহিদা

ক্রিসিল দাবি করেছে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষ থেকে পরপর দু’বছর দেশজুড়ে ফ্ল্যাটের চাহিদা ছিল অনেক বেশি। সেই তুলনায় আবাসন নির্মাণ হয়েছে অনেক কম সংখ্যায়।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

আগামী দু’বছর আবাসনের চাহিদা বাড়তে চলেছে। আর এই চাহিদা পূরণে বিলাসবহুল ও দামি ফ্ল্যাট বড় ভূমিকা নেবে। ২০২০ সালে যেখানে এই ফ্ল্যাটের জোগান ৯ শতাংশ বেড়েছিল, তা ২০২৪ সালে ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। চলতি এবং আগামী বছরে সেই বৃদ্ধির হার ৪০ শতাংশে পৌঁছতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দ্রুত নগরায়ণ এবং মানুষের উপার্জন বৃদ্ধি এর অন্যতম কারণ হিসেবে জানিয়েছে ক্রিসিল। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই) গত ফেব্রুয়ারি থেকে পরপর তিনবার রেপো রেট কমানোর ফলে ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিও ঋণের উপর সুদের ভার ইতিমধ্যেই কমাতে শুরু করেছে। এই দুই অর্থবর্ষে অর্থাৎ ২০২৫-২৬ এবং ২০২৬-২৭ সালে আবাসনের বিক্রি বাড়বে ১০ থেকে ১২ শতাংশ হারে। পাশাপাশি ফ্ল্যাটের গড়পড়তা দাম বাড়বে ৪ থেকে ৬ শতাংশ হারে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তিনবার রেপো রেট কমিয়েছে। যার স্বাভাবিক প্রভাব পড়েছে ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিতেও। এইসব অর্থিক সংস্থা ইতিমধ্যেই ঋণের উপর সুদের ভার কমাতে শুরু করেছে। একদিকে সুদের হার কমে যাওয়া, অন্যদিকে দামবৃদ্ধির হার তুলনামূলক কম। এই দুই কারণে চলতি অর্থবর্ষ এবং আগামী অর্থবর্ষে দেশের আবাসন শিল্পের বাজার চাঙ্গা থাকবে। দেশজুড়ে ৭৫টি নামজাদা রিয়েল এস্টেট সংস্থার আবাসনের বাজার বিশ্লেষণ করে এমনটাই দাবি করেছে ক্রেডিট রেটিং সংস্থা ক্রিসিল। তাদের হিসেব, চলতি অর্থবছর অর্থাৎ ২০২৫-২৬ সালে দেশে আবাসনের চাহিদা থাকবে প্রায় সাড়ে ৩৭ কোটি বর্গ ফুট। জোগান থাকবে প্রায় ৪৫ কোটি বর্গফুট। আগামী অর্থবর্ষ, অর্থাৎ ২০২৬-২৭ সালে যেখানে ফ্ল্যাটের চাহিদা থাকবে প্রায় সাড়ে ৩৯ কোটি বর্গ ফুট, সেখানে জোগান পৌঁছতে পারে সাড়ে ৪৫ কোটি বর্গফুটে।

Advertisement

ক্রিসিল দাবি করেছে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষ থেকে পরপর দু’বছর দেশজুড়ে ফ্ল্যাটের চাহিদা ছিল অনেক বেশি। সেই তুলনায় আবাসন নির্মাণ হয়েছে অনেক কম সংখ্যায়। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। করোনা-পরবর্তী সময়ে দেশে যত ফ্ল্যাটের জোগান বাড়তে থাকে, তার চেয়ে চাহিদা কম ছিল। গত অর্থবর্ষেও পরিস্থিতি তেমনই ছিল। এই সংস্থার দাবি, চাহিদার তুলনায় ফ্ল্যাটের জোগান বেশি থাকবে চলতি ও আগামী অর্থবর্ষেও।

Advertisement

Advertisement