জয়দীপ মুখার্জি পরিচালিত, একেনবাবু ফ্র্যাঞ্চাইজির নতুন সংযোজন ‘পুরো পুরী একেন’ সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে হইচই-তে। দর্শকদের এবারও মুগ্ধ করবে একেনবাবুর ক্যারিশমা। সুজন দাসগুপ্তের একটি উপন্যাস অবলম্বনে, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন পদ্মনাভ দাসগুপ্ত এবং গল্পটি সিরিজের আকারে সাজিয়েছেন শ্রীজিব।
একেনের এবারের রহস্যভেদের স্থান শ্রীক্ষেত্র। জয়দীপ এই নিয়ে চতুর্থবার একেন তৈরি করলেন। জয়দীপের নির্দেশনায় পুরী ও আশপাশের নানা লোকেশন, অসম্ভব সুন্দরভাবে ধরা দিয়েছে। রঘুরাজপুর কিংবা উদয়গিরি যেখানে হয়ে ওঠে খুনের অকুস্থল।
হাস্যরস এবং বুদ্ধির ভারসাম্য বজায় রেখে অসম্ভব মুনশিয়ানার সঙ্গে একেনকে গড়ে তুলেছেন অভিনেতা অনির্বাণ চক্রবর্তী। এই প্রতিবেদককে (অবন্তী সিনহা) একটি সাক্ষাৎকারে অনির্বাণ বলেন, ‘একেনবাবু’ সিরিজগুলিতে প্রতিবারই তিনি ‘একেন’কে একটু একটু করে গড়ে তোলেন তাঁর বিশেষ টাচ দিয়ে। তাঁর মননে যেভাবে তিনি একেনকে দেখেন, এই চরিত্রে ঘটে তারই প্রতিফলন। এবারের সিরিজটিতেও তার ব্যতিক্রম হয় না। ‘একেন’-এর খাবারের প্রতি আগ্রহ এবং সেই সঙ্গে রহস্যের জট ছাড়ানো- দুটিই যেন স্বাভাবিক প্রবৃত্তির মতোই অনায়াসে চলতে থাকে।
কথাকলি নৃত্যশিল্পী পারমিতার (রাজনন্দিনী পাল) হুমকির ফোন কল পাওয়া দিয়ে ঘটনার সূত্রপাত, যা পরপর ভয়ংকর কয়েকটি খুনের ঘটনায় পরিণত হয়। তাঁর স্বামী অভীক (রাহুল অরুণোদয় ব্যানার্জি) ঘটনার জেরে বিভ্রান্ত, খুনের কারণ বোঝার জন্য লড়াই করছেন। একেনবাবু তাঁর সঙ্গী বাপি (সুহোত্রা মুখোপাধ্যায়) এবং প্রমথ (সোমক ঘোষ) এই বিভ্রান্তিকর রহস্যের মোকাবেলাতেও অত্যন্ত সাবলীল। এছাড়া হাসির উপাদান জুগিয়ে জটিল পরিবেশকে ফুরফুরে করেছেন একেনের মামার চরিত্রে বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী।
‘পুরো পুরী একেন’ আদতে একটি রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চার কাহিনী, যা দর্শকদের সাসপেন্স, হাসি এবং একই সঙ্গে চক্রান্তের শরিক করবে। হত্যাকারী কে? অজানা নাকি চেনা চরিত্রগুলির কেউ? কী তার অভিসন্ধি? একেনবাবু কি পারমিতার জীবনের রহস্য উন্মোচন করতে পারবেন? সব জানতে মিস করবেন না ‘পুরো পুরী একেন’ সিরিজটি।