তিনিদিনে আক্রান্ত দুহাজার, আন্ত্রিকের উৎস নিয়ে ধোঁয়াশা

জল থেকেই সংক্রমণ জানালেন মেয়র

নিজস্ব প্রতিনিধি- আতঙ্কের নতুন নাম আন্ত্রিক। দক্ষিণ কলকাতার ওয়ার্ডগুলিতে ক্রমশ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আন্ত্রিকের সংখ্যা। শহরে যখন দুহাজার মানুষ আন্ত্রিকে আক্রান্ত তখন ঋতুপরিবর্তনকেই কারণ মনে করছেন কলকাতার মেয়র শোভন চট্ট্যোপাধ্যায়।

যদিও এই কথার সপক্ষে তিনি কোনও যুক্তি দেখাতে পারেননি। ফলে ঠিক কি কারণে আন্ত্রিক ছড়াল তা নিয়ে নতুন করে রহস্য দানা বাঁধছে। জল থেকেই আন্ত্রিক ছড়াচ্ছে মনে করা হচ্ছে এমনটাই।

তবে ‘পান করতে পারেন পুরসভার জল’, সোমবার বাঘাযতীন হাসপাতালে অসুস্থদের দেখতে গিয়ে শহরবাসীর উদ্দেশ্যে এমনটাই আশ্বাস দিলেন কলকাতার মেয়র শোভন চট্ট্যোপাধ্যায়।


কিন্তু জল আতঙ্ক কমার জায়গায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, এমনটাই সূত্রের খবর। তবে নরুন করে ৯২ নং ওয়ার্ডের বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দারা তেলিপাড়া, নস্করপাড়া, মহারাজ টেগোর রোড ও ১০৫ নং ওয়ার্ডের বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দারা পেটের সমস্যায় ভুগছে বলে জানা গেছে।

এদিন মেয়র জানান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সমস্যা ধরা পড়েনি। এমনকি জলের নমুনা পরীক্ষার জন্য স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।

যদিও নাইসেডকে জলের নমুনা পাঠানোর কথা এখনই ভাবছে না পুর কর্তৃপক্ষ। সোমবার বাঘাযতীন হাসপাতালে যান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বিশ্বরঞ্জন শতপথিও। এদিন ১৭ জনকে নতুন করে বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এখনও পর্যন্ত আন্ত্রিকে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছে ৪৩ জন। যদিও এদিন হাসপাতাল থেকে ২১ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিন হাসপাতালে রোগীদের দেখতে এসেছিলেন মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ, দেবব্রত মজুমদার, ১০১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত, ৯৯ নং ওয়ার্ডের ব্লক সভাপতি নিশীথ চক্রবর্তী, ১০২ নং ওয়ার্ডের ব্লক সভাপতি গৌতম ঘোষ, রাজ্যসভার সাংসদ মণীশ গুপ্ত প্রমুখ।

মণীশ গুপ্ত দীর্ঘ সময় ধরে হাসপাতালের সুপারের সঙ্গে কথা বলেন এবং আন্ত্রিক আক্রান্ত হয়ে যারা ভর্তি হয়েছেন তাদের শারীরিক অবস্থা সম্বন্ধে সুপারের কাছে খোঁজ নেন।