প্যানক্রিয়াসে স্টোন

প্যানক্রিয়াসে স্টোন হলে তা হােমিওপ্যাথির মাধ্যমে স্থায়ীভাবে নির্মূল করা সম্ভব।

Written by Dr.Kunal Bhattacharya Kolkata | April 18, 2019 9:57 am

প্রতীকী ছবি(Getty Images)

সাধারণ মানুষের মনে একটা প্রশ্ন প্রায়ই ঘােরাফেরা করে-প্যানক্রিয়াসে স্টোন হলে হােমিওপ্যাথির মাধ্যমে কি তা ভালাে করা সম্ভব?বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় মুল ধারার চিকিৎসা পদ্ধতির পক্ষ থেকে একটা ধারণা প্রচার করা হয় যে হােমিওপ্যাথির মাধ্যমে স্টোনের চিকিৎসা অবাস্তব এবং অপারেশনই এর একমাত্র সমাধান কিন্তু প্যানক্রিয়াসে বা অন্য কোথাও বারবার স্টোন হলে কি বারবার অপারেশন করাতে হবে,ভারতের আর্থ সামাজিক পরিস্থিতিতে বার বার অপারেশন কতটা যুক্তিযুক্ত,এই অপ্রিয় বিষয়গুলাে সযত্নে এড়িয়ে যাওয়া হয়।প্রথমেই একটা কথা স্পষ্ট করে দিতে চাই – হ্যাঁ,প্যানক্রিয়াসে স্টোন হলে তা হােমিওপ্যাথির মাধ্যমে স্থায়ীভাবে নির্মূল করা সম্ভব।অবশ্যই চিকিৎসকের ব্যক্তিগত ব্যর্থতা থাকতে পারে।স্টোনের আকার অত্যধিক বড় হলে ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা সম্ভব নাকি সার্জারি করাতে হবে,সেটা অবশ্যই চিকিৎসককে মাথায় রাখতে হবে।কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে যে,স্টোন মানেই সার্জারি নয়–হােমিওপ্যাথিক ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসাই হওয়া উচিত প্রথম স্বাভাবিক পছন্দ।

প্যানক্রিয়াস স্টোনের কারণ

কোনও কারণে প্যানক্রিয়াসের নালী ছােট হয়ে গেলে প্যানক্রিয়াটিক এনজাইমগুলাে জমে গিয়ে পাথরের আকার নেয়।প্যানক্রিয়াসের টিউমার,গলস্টোন থেকে প্যানক্রিয়াসের নালীর অবস্ট্রাকশন,মদ্যপান,গলব্লাডার বা প্যানক্রিয়াসের প্রদাহ,রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে এই জাতীয় স্টোন হয়।

প্যানক্রিয়াস স্টোনের লক্ষণ ও চিকিৎসা

ব্যথা পেটের বাঁদিকে নাভির ওপর থেকে শুরু হয়ে পিঠ অবধি যায়।সাধারণত জ্বালাকর ব্যথা হয়।বদহজম,পেট জ্বালা,জন্ডিস,সুগার বেড়ে যাওয়ার সমস্যা থাকে।

ওষুধের মাধ্যমে প্যানক্রিয়াটিক স্টোন সারানাে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে চ্যালেঞ্জিং।রােগ শুরুর আগে রােগীর মানসিক স্থিতি ও বর্তমান লক্ষণ সমান গুরুত্বপূর্ণ।আইরিস ভার্স,কারকিউমা,অ্যাট্রোপিন সালফ,প্যানক্রিয়াটিনাম ভালাে কাজ দেয়। বংশে টিবির ইতিহাস , ঘনঘন সর্দি হাঁচির প্রবণতার ওপর নাইজেলা স্যাটিভা ব্যবহার করে কিছু রােগীর ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য পেতে দেখেছি । তবে সর্বদাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাবেন ।