পান পাতায় ঔষধি গুণের জন্য রোজ পান খান এবং বহু রোগও সারান

পুজো-অর্চনায়,ব্ৰত কথায়,মুখ শুদ্ধিতে পানের প্রয়ােজন অনেক।আবার পানের মধ্যে অনেক ঔষধিগুণও রয়েছে।

Written by Haripada Sarkar Kolkata | May 16, 2019 5:24 pm

পান তৈরি করছেন দোকানি(ছবি-Getty Images)

পান,পােশাকি নাম তাম্বুল।ডাক্তারী নাম পিপার বিটল।পানের আদর সর্বত্র। পুজো-অর্চনায়,ব্ৰত কথায়,মুখ শুদ্ধিতে পানের প্রয়ােজন অনেক।আবার পানের মধ্যে অনেক ঔষধিগুণও রয়েছে।উৎসব-অনুষ্ঠানে ও বিয়েবাড়িতে ভরপেট খাওয়ার পর অনেকেরই পান খাওয়ার অভ্যেস থাকে,যেগুলাে স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই হিতকর।আজও গ্রামের মানুষ পানপাতার গুনাগুন জানেন না।অথচ নিত্য পান খান।পান খেতে ভাল লাগে আবার অন্য বস্তুতে রুচি জন্মায়। কষায় তিক্ত,কটুরস,রক্তিপিত্তজনক,লঘু ,বল কারক,কামদীপক ও ক্ষতরােপক। পান কফ,মুখের দুর্গন্ধ ,মল,বায়ু , শ্রান্তি ও রাত্র্যন্ধতা নাশক।

জেনে নেওয়া ভাল সেইসব উপকারিতা।

পান পাতার রস দাঁত ও মাড়ি শক্ত রাখতে সাহায্য করে।সাধারণ অর্থাৎ সাদা পান নিয়মিত খেলে পানের রস হজম শক্তি বাড়ায়।পান পাতায় ফাইবার থাকে তার ফলে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর হয়।যাদের হজম শক্তি কম অর্থাৎ পেটে ব্যাথা,অম্বল ঢেকুর,পেট ফাঁপা ইত্যাদি হয় তাদের পক্ষে নিয়মিত সাত দিন পান খেলে খিদে বাড়বে এবং শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যাবে।খাওয়ার পর অনেকের মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হয়।সাদা পান চিবিয়ে খান,তিনদিনে মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে।শরীরের ক্ষত স্থানে টাটকা পান পাতা একটু সেঁকে লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করলে তাড়াতাড়ি ক্ষতস্থান শুকিয়ে যায়।এছাড়াও পান পাতার রসের সঙ্গে ২ চামচ টাটকা মধু মিশিয়ে খেলে গলার ব্যথার ইনফেকসান দূর হয়।

যে সকল পানের চাহিদা ও গুনাগুন বেশি তা সম্বন্ধে জেনে নেওয়া ভাল।সাধারণ ও অভিজাত দোকানে উচ্চ শ্রেণী থেকে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য তিন রকম প্রণালীতে পান প্রস্তুত হয়।

যেমন-(ক)সাধারণ খয়ের ও চুন দিয়ে মিষ্টি পান

(খ) মশলা যুক্ত সুগন্ধী পান

(গ)তামাক জাতীয় দ্রব্য মিশ্রিত সুগন্ধী যুক্ত খিলি পান।

তিন প্রকার পানের মধ্যে সাধারণ ও মিষ্টি পানের উপকারিতাই বেশি।সাদা ও মিষ্টি পান মেদিনীপুর,সুন্দরবন,কাকদ্বীপ ও হাওড়া জেলার একটি অর্থকরী ফসল।এর মধ্যে তমলুক,ঘাটাল ও চন্দ্রকোণার পান উৎকৃষ্ট ও দামও বেশি, স্বাদও মিষ্টি এবং রোগ নিরাময়ে হিতকর।
 প্রসঙ্গত উল্লেখ্য –অধিক মাত্রায় মশলাযুক্ত জর্দা,সুগন্ধী,মিষ্টি সুপারীযুক্ত খিলি পান খাওয়া শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক।দাঁত লাল বর্ণ ও গােড়ায় ঘা হতে পারে। জিভের স্বাদও নষ্ট হয়ে যায়।কঠিন ব্যাধি সৃষ্টি হতে পারে।সুতরাং পান বা পান ব পাতা শুধু ও সীমিত খাওয়ার অভ্যাস করুন।তাহলে রােজ পান খাওয়ার হাতে হাতে সুফল পাবেন।