শরীর ঠিক রাখতে পাঁচটি নিয়ম মেনে চলুন

প্রতীকী ছবি(Getty Images)

বেসরকারি যেকোনও অফিসে নাইট শিফট প্রায় বাধ্যতামুলক।সে ছেলে হােক বা মেয়ে , নাইট শিফটে কাজ করতে হয় প্রায় সবাইকেই।আর স্বাভাবিকভাবেই রাতের ঘুম কাটিয়ে কাজ করে দিনের ঘুম সেই শূন্যতা পূরণ করতে পারে না।ফলে তৈরি হয় নানা শারীরিক সমস্যা।তবে একটু সচেতন থাকলেই সেই সমস্যা বা অসুবিধাগুলাে কাটিয়ে উঠতে পারবেন।নাইট শিফট হয়তাে এড়াতে পারবেন না।কিন্তু এর জন্য শরীরের অসুস্থতা এড়ানাে যায় খুব সহজেই।মাত্র পাঁচটা নিয়ম মানলেই আপনার শরীর সামলে নেবে দিনের পর দিন নাইট শিফটের কাজ।

১ ) শিফট শুরু হওয়ার আগে ভালােমতাে ঘুমােন।নাইট শিফটের জন্য রাতে জাগতে হয়। আর দিনে ঘুমােতে হয়।এর ফলে বায়ােলজিক্যাল ক্লকের বারােটা বাজে।অপর্যাপ্ত হয় ঘুম। সেই ঘুমের ঘাটতি মিটিয়ে নিন শিফট শুরু হওয়ার  আগে অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমিয়ে।যদি আপনার শিফট শুরু হয় সন্ধে ৬টায় , তাহলে অফিস যাওয়ার আগে ৭-৮ঘণ্টা ঘুম বাঞ্ছনীয়।ঘুম থেকে উঠে একটু হেঁটে আসুন।তারপর তৈরি হন অফিসের জন্য।

২ ) নাইট শিফট থেকে ফিরেই ঘুম হয়,মনে রাখতে হবে নাইট শিফটে কাজের ক্লান্তি দিনের কর্মক্ষমতা কমায়।ফলে দিনে কাজের পরিশ্রম যতই হােক না কেন নাইট শিফটে পরিশ্রম অনেক বেশি।কারণ এতে মানসিক ক্লান্তির সঙ্গে শারীরিক ক্লান্তিও থাকে।তাই বাড়ি ফিরে যদি সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন , তবে ততটাও ক্লান্তিবােধ কাটবে না আপনার।তাই বাড়ি ফিরে পছন্দের কাজ করুন।বই পড়া ,গান শােনা , পছন্দের খাবার খাওয়া।বেশ কিছুটা সময় রিল্যাক্স করে তারপর শুতে যান।


৩ ) নাইট শিফট কাজে বাদ দিন কফি,কোল্ড ড্রিংস। রাতে জেগে থাকতে অনেকেই ঘন ঘন কফি খান।সেটা কিন্তু শরীরে সব থেকে বেশি ক্ষতি করে। তাই নাইট শিফটে কাজের ফাকে ঘুম পেলে ব্রেক নিন।হেঁটে আসুন।কিন্তু কফি বা কোল্ড ড্রিংস খেয়ে শরীরের বারােটা বাজাবেন না।

৪ ) টুকটাক খাওয়া বাদ দিন।রাতে কাজ করতে করতে অনেকেই মুখ চালাতে
ভালােবাসেন।খিদে না পেলেও স্ন্যাক্স জাতীয় কিছু খেতে ইচ্ছে করে এই সময়।তবে সেই পথে হাঁটবেন না।কারণ অসময়ের খাওয়া ফ্যাট বাড়ায়।শুধু তাই নয় , ঘুমও বেশি পায় এই ধরনের খাওয়াতে।তার বদলে খেতে পারেন প্রােটিন জাতীয় খাবার।খান ডিম,পনির বা পিনাট বাটার জাতীয় খাবার । এতে সহজে ঘুম আসবে না।

৫ ) নাইট শিফট করলে ব্যায়াম মাস্ট।সপ্তাহে যতদিন নাইট শিফট করুন না কেন , দিনের বেলায় নিয়ম করে ব্যায়াম করুন বা জিমে যান। শরীরচর্চা আপনাকে ফিট রাখবে ও সতেজ থাকবেন।ব্যায়ামের আগে হাল্কা কিছু খান।ফল,প্রােটিন বার বা বিস্কুট জাতীয় খাবার শরীরকে প্রয়ােজনীয় পুষ্টি দেবে।