• facebook
  • twitter
Thursday, 6 February, 2025

বাইপাসে খুন তরুণী, গ্রেপ্তার কিশোর-সহ তিন

২৪ বছরের তরুণীর সঙ্গে বাবার অবৈধ সম্পর্ক মানতে না পেরে তরুণীকে ছুরির কোপ মারার অভিযোগ উঠল এক কিশোর এবং তার নিকটাত্মীয়দের বিরুদ্ধে।

প্রতীকী ছবি

রাতের বাইপাসে হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড। ২৪ বছরের তরুণীর সঙ্গে বাবার অবৈধ সম্পর্ক মানতে না পেরে তরুণীকে ছুরির কোপ মারার অভিযোগ উঠল এক কিশোর এবং তার নিকটাত্মীয়দের বিরুদ্ধে। স্থানীয়েরা তরুণীকে উদ্ধার করে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে, সেখানেই রাত ২টো নাগাদ মৃত্যু ঘটে তাঁর। ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত কিশোরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাত পৌনে ন’টা নাগাদ অভিযুক্ত কিশোরের বাবা পার্ক স্ট্রিট সংলগ্ন কলিন লেনের বাসিন্দা মহম্মদ ফারুক আনসারির সঙ্গে গাড়িতে চেপে বাইপাস এলাকার এক ধাবাই চা খেতে গিয়েছিলেন নারকেলডাঙার বাসিন্দা রাফিয়া শাকিল। সেই সময় তাঁদের গাড়ির জিপিএস দেখে পিছু নেয় অভিযুক্ত কিশোর এবং তার মা শেহজাদি ফারুক। ওই গাড়িতে চালকসহ ছিলেন কিশোরের দূর সম্পর্কের দাদা ওয়াসিম আক্রাম। সূত্রের খবর, ধাবার সামনে গাড়ি থামিয়েই তরুণীর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে একের পর এক ছুরির কোপ চালাতে থাকে কিশোর এবং তার মা শেহজাদি। সেই সময় তরুণী প্রাণে বাঁচার চেষ্টা করলে তাঁকে পিছন থেকে ধরেছিল অভিযুক্ত যুবক ওয়াসিম।

অন্যদিকে পরকীয়া সঙ্গীকে ছুরির কোপ মারতে দেখে ঘটনাস্থল ছেড়ে চম্পট দেন মহম্মদ ফারুক এবং গাড়ির চালক। তাঁদের এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ মেলেনি। এরপরে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় তরুণী সাহায্য চাইতে যান পাশের এক ওষুধের দোকানে। সেখান থেকেই প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তরুণীকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে। তবে রাতে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনার তদন্তে নেমে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় কিশোর এবং তার মাকে। পরে ধৃতদের জেরা করে উঠে আসে ওয়াসিমের নাম। ঘটনাকে ঘিরে পুলিশি জেরার মুখে ধৃত কিশোরের দাবি, পেশায় গাড়ি ব্যবসায়ী বাবার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল রাফিয়ার। সেই সম্পর্ক ক্রমেই চিড় ধরাচ্ছিল সংসারে। যা মানতে না পেরেই চরম সিদ্ধান্ত কিশোরের। যদিও কিশোরের দাবি কতটা সত্য তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

অন্যদিকে ঘটনার তদন্তে নেমে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে খুনের কিনারা করলেও, বাইপাসের মতো জনবহুল এলাকায় ভরসন্ধ্যায় খুনের ঘটনায় কার্যত প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে।