• facebook
  • twitter
Wednesday, 17 December, 2025

অগ্নিমিত্রা না শমীক, পরবর্তী রাজ্য সভাপতি নিয়ে তীব্র জল্পনা বিজেপিতে

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখেই ঘর গুছানোর কাজে নেমেছে বিজেপি

রাজ্য বিজেপির পরবর্তী সভাপতি কে তাই নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে দলের অন্দরমহলে। আরজি করের ঘটনায় বিজেপির ডাকা কোনও কর্মসূচি সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি। দলের একাংশ যেভাবে জুনিয়র চিকিৎসকদের লক্ষ্য করে তীর্যক মন্তব্য করেছেন তাকেও ভালো চোখে দেখেনি শীর্ষ নেতৃত্ব। এর জন্য সভাপতি নির্বাচন নিয়ে দলীয় কর্মীদের দোলাচলই সামনে এসেছে।

বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের পরবর্তী সভাপতি হিসেবে যে দুটি নাম বেশি শোনা যাচ্ছে সেগুলি হল রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য এবং আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। ২০১৪ সালে বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জয়ী হন শমীক। বর্তমানে তিনি রাজ্যসভার সাংসদ এবং দলের মুখ্য প্রবক্তা। অন্যদিকে অগ্নিমিত্রা রাজ্য মহিলা মোর্চার সভাপতি ছিলেন। ডাকাবুকো নেত্রী হিসেবেই তার পরিচিতি। শমীক এবং অগ্নিমিত্রা দুজনেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চাইছে যিনি রাজ্য সভাপতি হন তিনি যেন বিরোধী দলনেতার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রেখে সংগঠনের বিস্তারে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

Advertisement

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা বলেন, বিজেপিতে ‘এক পদ এক নেতা’, তাই শুভেন্দু চাইলেও তার পক্ষে রাজ্য সভাপতি হওয়া বিজেপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোনভাবেই সম্ভব নয়। অন্যদিকে বিরোধী দলনেতার পদ ছাড়তেও শুভেন্দু নারাজ । শুভেন্দু যদি সেই পদ ধরে রেখে রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পান তাহলে সেটা হবে খুবই আশ্চর্যজনক ব্যাপার। শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ এবং তার সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে এমন নেতাকেই তাই রাজ্য সভাপতি হিসেবে দেখতে চাইছে দল। আগামী এক-দু মাসের মধ্যেই পরবর্তী রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে বলে বিজেপি সূত্রে খবর।

Advertisement

এছাড়া আরও কয়েকটি নাম নিয়ে আলোচনা বিভিন্ন সময়ে দলের অন্দরমহলে হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো এবং প্রাক্তন সংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এক বিজেপি নেতা বলেন, জ্যোতির্ময় ও লকেটের নাম নিয়ে একসময় আলোচনা হয়েছিল কিন্তু এখন তারা দৌড় থেকে পিছিয়ে গিয়েছেন।

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখেই ঘর গুছানোর কাজে নেমেছে বিজেপি। কিন্তু দলের হাল এই মুহূর্তে কে ধরবে তাই নিয়ে দ্রুত কর্মীদের মধ্যে থাকা সংশয় দূর করতে হবে এমনটাই মনে করছেন বিজেপি নেতারা।

 

 

Advertisement