• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

স্কুলের বিকল্প হিসাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায় রাখা হবে? তা কেন্দ্র ও রাজ্যকে জানাতে বলল হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি বিষয়ক মামলা। ভোট মিটলেও ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে এখনও রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। স্কুল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরানো নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ টন্ডনের বেঞ্চে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। সেই মামলারই শুনানি ছিল এদিন। বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার একাধিক

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি বিষয়ক মামলা। ভোট মিটলেও ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে এখনও রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। স্কুল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরানো নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ টন্ডনের বেঞ্চে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। সেই মামলারই শুনানি ছিল এদিন। বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার একাধিক অভিযোগ উঠেছে। শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। কলকাতা হাইকোর্ট আগেই জানিয়েছে যে, ২১ জুন পর্যন্ত রাজ্যে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

তবে এখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে হাইকোর্টে জানানো হল, ‘রাজ্যে বাহিনী মোতায়েনের মেয়াদ বাড়ানো হলে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই’। কেন্দ্রীয় বাহিনী অন্যত্র স্থানান্তর করা মুশকিল। রাজ্যের অনেক স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে যাওয়ায় সেখানে পঠনপাঠন নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। রাজ্যের সওয়াল শুনে বিচারপতি হরিশ টন্ডন মন্তব্য করেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য বিকল্প জায়গার সন্ধান করতে হবে। কারণ শিক্ষা সবার আগে”।

Advertisement

এজন্য কেন্দ্র ও রাজ্যকে বিকল্প জায়গা দেখতে বলল হাইকোর্ট। রাজ্যের এখনও কতগুলি স্কুল এবং কলেজে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে তা নিয়ে আইনজীবী জানান, ‘রাজ্যের ১২৫টি স্কুল এবং ১০৭টি কলেজে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে’। এই বিপুল সংখ্যক স্কুল এবং কলেজে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় উচ্চ শিক্ষা এবং স্কুল শিক্ষায় প্রভাব পড়ছে। সেই নিয়ে মামলাকারীর আইনজীবী হাইকোর্টে বলেন, “বাহিনীর জন্য যে ব্যারাক আছে, সেখানে স্থানান্তরিত করা হোক এই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে”। ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যে জায়গাগুলিতে রাখা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে প্রত্যন্ত এলাকাও। এখন প্রত্যন্ত এলাকায় কি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া বিকল্প জায়গার ব্যবস্থা করা যেতে পারে? সেই নিয়ে রাজ্যের মত, ‘প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্কুল ছাড়া বিকল্প জায়গার সন্ধান পাওয়া মুশকিল।’ সব পক্ষের সওয়াল শুনে ধীরে ধীরে বাহিনী প্রত্যাহারের পক্ষেই মত দেন হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ টন্ডন। তিনি বলেন, “যেখানে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ নেই, সেখান থেকে বাহিনী প্রত্যাহার করা যেতেই পারে। এভাবে দফায় দফায় বাহিনী প্রত্যাহার করা যায়।” পাশাপাশি বাকি বাহিনী রাখারজন্য কেন্দ্র ও রাজ্যকে বিকল্প জায়গা দেখতে বলল হাইকোর্ট। আগামী ২১ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

Advertisement

Advertisement