রাজ্য মেডিক্যাল রেজিস্ট্রার পদ থেকে মানস চক্রবর্তীকে অপসারণের নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য ভবন। ওই পদে দ্রুত নতুন কাউকে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব। সূত্রের খবর, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারের পুনর্নিয়োগের সময় প্রয়োজনীয় নিয়মকানুন মানা হয়নি বলেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রেজিস্ট্রারের অপসারণের দাবিতে অন্তত ৫২টি সরকারি চিকিৎসক সংগঠন ২০১৯ সাল থেকে দফায় দফায় অভিযোগ জানিয়েছে।
রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ডা. সুদীপ্ত রায়কে চিঠি লিখে রেজিস্ট্রার পদ থেকে মানস চক্রবর্তীকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব। ২০১৯ সালে রেজিস্ট্রার পদে মানস চক্রবর্তীকে ‘পুনর্নিয়োগ’ করা হয়েছিল। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলকে পাঠানো চিঠিতে জানানো হয়, মানস চক্রবর্তীর ‘পুনর্নিয়োগ’ অবৈধ। স্বাস্থ্য দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব ডা. অনিরুদ্ধ নিয়োগী সুদীপ্ত রায়কে চিঠি লিখে অবিলম্বে ওই পদে নতুন কাউকে বসানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
Advertisement
এদিকে মানস চক্রবর্তীর ‘পুনর্নিয়োগ’ অবৈধ বলে উল্লেখ করায় বেশ কিছু সিদ্ধান্তের ভবিষ্যত নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হল। এর মধ্যে রয়েছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল সংক্রান্ত নির্দেশ। রাজ্যের সমস্ত সরকারি-বেসরকারি চিকিৎসক সংগঠন ওয়েস্টবেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারের নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসছিল। আইএমএ (ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন)-র পশ্চিমবঙ্গ শাখাও এনিয়ে সরব হয়েছিল।
Advertisement
২০১৯ সালের পর যে চিকিৎসকরা পাশ করে রেজিস্ট্রেশন নম্বর পেয়েছেন, তাঁদের নথিতে সই করেছেন মানস চক্রবর্তী। ফলে তাঁদের রেজিস্ট্রেশনের আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এদিকে স্বাস্থ্য কমিশনের সভাপতি ডা. সুদীপ্ত রায় আবার মানস চক্রবর্তীকে রাখতে চেয়ে পাল্টা চিঠি পাঠিয়েছেন। অবশ্য সেই চিঠিতে একেবারের গুরুত্ব দিতে নারাজ স্বাস্থ্য ভবন। মানস চক্রবর্তীকে অপসারণের সিদ্ধান্ত পাল্টাতে চায়নি তারা।
Advertisement



