হেস্টিংসে গােলমাল, অমিতকে চিঠি কৈলাস বিজয়বর্গীয়র

ধুমধাম করে আয়ােজন করা হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারী সম্বর্ধনা সভার। কিন্তু তার আগেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল হেস্টিংসে বিজেপির প্রধান নির্বাচনী দফতর।

Written by SNS Kolkata | December 27, 2020 10:25 pm

শুভেন্দু অধিকারী (Photo: Facebook/@SriSuvenduAdhikari)

ধুমধাম করে আয়ােজন করা হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারী সম্বর্ধনা সভার। কিন্তু তার আগেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল হেস্টিংসে বিজেপির প্রধান নির্বাচনী দফতর। ঘটনার সূত্রপাত সদ্য তৃণমূলে যােগদান। বিজেপি নেতা সুনীল মন্ডলের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আসাকে কেন্দ্র করে। 

শনিবার সকাল থেকে বিজেপির কার্যালয়ের সামনে মাইক বেঁধে তৃণমূল একটি বিক্ষোভ কর্মসুচি চালাচ্ছিল। সুনীল মণ্ডলের গাড়ি এই মঞ্চের কাছাকাছি পৌঁছতেই কিছু তৃণমূল কর্মী তাঁর গাড়ি আটক করে দেন এবং তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের আটকানাের চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। সেই সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছান বেশকিছু বিজেপি কর্মী সমর্থকরা এবং দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। 

তৃণমূল কর্মীরা রাস্তায় শুয়ে পড়ে সাংসদের গাড়ি আটকানাের চেষ্টা করে। পুলিশের সামনেই তাদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। সাংসদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শােনা যায় তৃণমূল কর্মীদের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দু’পক্ষের মধ্যে পুলিশের সামনেই হাতাহাতি শুরু হয়।

এদিন বৈঠকে যােগ দেওয়ার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারী সহ ৪৩ জনের। অর্জুন সিংহ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, তথাগত রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘােষরা কার্যালয়ে ঢুকলেও তখনাে প্রবেশ করেননি শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময় এই ঘটনাটি ঘটেছে। গেরুয়া শিবিরের অভিযােগ, বিজেপির বৈঠকের আগে পরিকল্পিতভাবে এই বিক্ষোভ দেখানাে হয়েছে। 

বিজেপি নেতৃত্ব প্রশ্ন তুলেছে, উত্তেজনা ছড়ানাের আশঙ্কা আগে থেকেই ছিলই। তার পরেও কেন পুলিশ কোন আগাম সতর্কতা নিল না? ঘটনার পর অবশ্য পুলিশ গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে দেয় তৃণমূলের সভাস্থল। যাতে সেখান থেকে কেউ বিজেপি দফতরের দিকে এগােতে না পারে। বাড়ানাে হয় পুলিশের সংখ্যাও। 

অন্যদিকে, এই পুরাে ঘটনার জন্য স্থানীয় বিধায়ক তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে বলেই মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। 

এদিকে সুনিল মন্ডলের গাড়ির ওপর এই আক্রমণ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এই ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে তিনি অমিত শাহকে চিঠি লেখেন। পাশাপাশি অমিত শাহের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তিনি, জানা গেছে এমনটাই। 

সূত্রের খবর, কৈলাস বিজয়বর্গীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা পুরােপুরি ভেঙ্গে পড়েছে, এই ঘটনাটিতে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। এখন দেখার এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঠিক কী পদক্ষেপ নেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কৈলাস বিজয়বর্গীয় তৃণমূল থেকে আসা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে। খুব শীঘ্রই সাংসদ সুনীল মণ্ডল কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাবেন বলে জানা যাচ্ছে।