তৃণমূল নেত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। তাঁর গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া এলাকার। অভিযোগের তির রাজ্যের শাসকদলের এক নেতার দিকে। অভিযোগকারী নেত্রী আগে বিজেপি করতেন। সন্দেশখালি কাণ্ডে বিক্ষোভ চলাকালীন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গাড়ির বনেটের উপর পড়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। গত লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। ইতিমধ্যেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূলের এই মহিলা নেত্রী।
গোটা ঘটনায় অভিযোগের তির বাদুড়িয়া যশাইকাঠি পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের দিকে। সোমবার রাতে তৃণমূলের বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদিকা গাড়ি করে ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁর গাড়ি আটকে শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে রক্ষায় করতে গিয়ে দেহরক্ষী আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। স্থানীয় সূত্রে খবর, আক্রান্ত নেত্রী এবং অভিযুক্ত নেতা দলের দুই আলাদা গোষ্ঠীর। ফলে গোষ্ঠীকোন্দলের বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
অভিযোগকারী তৃণমূল নেত্রী বলেন, গাড়ির সামনে একটি বাচ্চা চলে আসে। সেই নিয়েই ঝামেলার শুরু। আমি শুধু বলেছিলাম, ‘এই ভাবে বাচ্চাদের রাস্তায় কেউ ছেড়ে দেয়?’ তার পরেই এলাকায় লোকজন আমায় ঘিরে ধরেন। তাতে নেতৃত্ব দেন উপপ্রধান। আমার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আমাকে গাড়ি থেকে টেনে বার করে মারধর করা হয়। আমায় চড় পর্যন্ত মারা হয়েছে। এটা পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা বলে দাবি করেছেন তিনি। যদিও সমস্ত ঘটনাই অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। তাঁর দাবি, গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সমস্যার সমাধান করতে। তখন বাদুড়িয়া থানার পুলিশ সেখানে উপস্থিত ছিল।