২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত প্রচার সভাগুলিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সহ আক্রমণ করতে হবে সিপিএম জমানাকেও।
তাই মোদির সঙ্গে একাসনে বসিয়ে রাজ্য তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা আক্রমণ শানাচ্ছেন বামফ্রন্ট জমানার প্রতিও।
Advertisement
সম্প্রতি ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসের সমাবেশ পালনের আগে রাজ্য জুড়ে তার প্রচার সভা করার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল। শীর্ষ বলে খবর। সঙ্গে পথসভার বক্তৃতায় কী কী বলতে তাও নির্দেশাকারে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা।
Advertisement
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ভাষণে এখনকার বিজেপিকে আক্রমণের পাশাপাশি তখনকার সিপিএম জমানাকেও আক্রমণ করতে হবে।
জ্যোতি-বুদ্ধ জমানায় গণহত্যা, ধর্ষণ, হিংসা, লোডশেডিং, ইংরেজি তুলে দেওয়া, কম্পিউটারের বিরোধিতা, বন্ধ শিল্প ও ধর্মঘটের ফলে সৃষ্ট অচলাবস্থার কথাও উল্লেখ করতে হবে।
১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার ‘নো আই কার্ড, নো ভোট’- এর দাবিতে মমতার অহিংস আন্দোলনের উপর জ্যোতি বসু সরকারের পুলিশ গুলি চালিয়ে জন যুবকর্মীকে হত্যা করেছিল, সে কথা তুলে ধরতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়াও ওই দিনের ঘটনায় শতাধিক যুব কংগ্রেস কর্মী সহ মমতাও যে আহত হয়েছিলেন, তাও প্রকাশ্য সভাগুলিতে উল্লেখ করতে বলা হয়েছে।
বর্তমানে রাজ্যে বিজেপির সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে সিপিএম ও কংগ্রেস চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে বলেও আক্রমণ শানাতে হবে বলে নির্দেশ।
Advertisement



