• facebook
  • twitter
Sunday, 14 December, 2025

ডুয়ার্সে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই, আশায় বুক বাঁধছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা

সম্প্রতি হড়পা বানের জেরে ডুয়ার্সের পর্যটন শিল্পে ধস নামে। টানা বৃষ্টির ফলে নদীর জল ঢুকে পড়ে একাধিক পর্যটন কেন্দ্র, রিসর্ট ও ইকোপার্কে।

সম্প্রতি হড়পা বানের জেরে ডুয়ার্সের পর্যটন শিল্পে ধস নামে। টানা বৃষ্টির ফলে নদীর জল ঢুকে পড়ে একাধিক পর্যটন কেন্দ্র, রিসর্ট ও ইকো পার্কে। বাতিল হয় বহু পর্যটকের অগ্রিম বুকিং। তবে কালীপুজোর আগেই নতুন উদ্যমে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

ডুয়ার্সের অন্যতম আকর্ষণ ডায়না নদীর ধারে অবস্থিত ফানসিটি সম্পূর্ণ ভেসে গিয়েছিল জলস্রোতে। তবে গুজব ছড়িয়ে পড়ে, এটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে। সোশাল মিডিয়ায় এই ধরনের ভুয়ো প্রচারের কারণে পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়, এবং একের পর এক বুকিং বাতিল হয়।

Advertisement

স্বস্তির খবর এটাই, পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে সংস্কার কাজ। রিসর্ট, নজর মিনার, রাস্তা এবং প্রাচীর মেরামতের পাশাপাশি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে নতুন উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে। ফানসিটিতে চালু হয়েছে টয় ট্রেন পরিষেবা। পাশাপাশি, শনিবার থেকেই গরুমারা জাতীয় উদ্যানের জঙ্গল সাফারিও আবার শুরু হয়েছে।

Advertisement

এক পর্যটন ব্যবসায়ী বলেন, ‘ডায়না নদীর জল ঢুকে আমাদের রিসর্ট এবং অন্যান্য বেশ কিছু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। এখন সবকিছু মেরামত করে পরিষেবা চালু করা হয়েছে। আশা করি, কালীপুজোর মরশুমে পর্যটকেরা আবার ডুয়ার্সমুখো হবেন।’ এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, ‘ডায়না নদীর জল প্রবেশ করলেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জল নেমে যায়। বড় কোনও ক্ষতি হয়নি, পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক।’

উল্লেখ্য, ৫ অক্টোবর হঠাৎ হড়পা বানে প্লাবিত হয় নদী সংলগ্ন এলাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বহু ছোট-বড় পর্যটন কেন্দ্র, হোমস্টে এবং রিসর্ট। তবে ব্যবসায়ীদের চেষ্টার ফলে পরিস্থিতি দ্রুত বদলাচ্ছে। পর্যটন মহলের আশা, কালীপুজোর ছুটিকে সামনে রেখে আবারও পর্যটক ভিড় করবে ডুয়ার্সে।

Advertisement