সাধারণ মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি ও ভাতৃত্বের বার্তা দিতে বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে ভাইফোঁটার আয়োজন করা হলো। জেলার বিভিন্ন ব্লকে একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। হিন্দু মুসলিম সকলে মিলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। শুধুমাত্র দলীয় কর্মী সমর্থকরাই নন অংশ নেন গ্রামের সাধারণ মানুষজন। বোনেরা সকলে মিলে ভাইদের কপালে ফোঁটা দিয়ে মঙ্গল কামনা করলেন। ছিল মিষ্টি মুখের ব্যাবস্থা। একে অপরের হাতে তুলে দেন সাধ্যমত উপহার।
এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে বেশিরভাগ অঞ্চলেই গণ ভাইফোঁটার আয়োজন ঘিরে ছিল মহা সমারোহ। পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমার পূর্বস্থলীতে সবচেয়ে বড়ো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের উদ্যোগে। সম্প্রীতির ভাতৃদ্বিতীয়ার এই অনুষ্ঠান হয় শ্রীরামপুর অঞ্চলের খাদি ভবনে। বহু মানুষের উপস্থিতিতে ভাইফোঁটা নিতে বসেন মন্ত্রী নিজেও। মুসলিম, হিন্দু সব সম্প্রদায়ের মহিলারা সকল ভাইদের ফোঁটা দিলেন। এমনকি নমাজের টুপি মাথায় দিয়েই ফোঁটা নিলেন অনেকেই। ভাইফোঁটা উপলক্ষে খন্ডঘোষ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অপার্থিব ইসলামের নির্দেশ মেনে বেরুগ্রাম অঞ্চলে ভাতৃবন্ধনের অনুষ্ঠান হয়। এই অনুষ্ঠানে তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু নেতাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ওই অঞ্চলের সেখ সাহাদ আলী, সেখ আনিসুল, সাবীর আলীদের মাথায় ফোঁটা দিলেন মনিদীপা দে, মমতা ব্যানার্জির মতো মহিলা কর্মীরা। ছিলেন সাধারণ গ্রামবাসীরাও।
এরই পাশাপাশি জামালপুরে ব্লক পার্টি অফিসেও ভাই ফোঁটার অনুষ্ঠান করেন ব্লকের ১৩ টি অঞ্চল থেকে আসা দলের মহিলা কর্মীরা। এখানেও এক সম্প্রীতির আবহ লক্ষ করা যায়। এখানেও জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই আসেন ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খাঁনকে ভাই ফোঁটা দিতে। পার্টি অফিসে তাঁর মঙ্গল কামনায় তাঁর কপালে প্রথম ফোঁটা দেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পূর্ণিমা মালিক। ছিলেন বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ শিপ্রা ওঝা আর ছিলেন ব্লকের সমস্ত স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর নেত্রী ঝর্না বেগম শেখ। এক মুসলমান ভাইয়ের কপালে এক হিন্দু বোন ফোঁটা দিচ্ছেন সত্যি সম্প্রীতির এক চরম নিদর্শন দেখা গেল এখানেও। ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিয়ে উপহার দেন বোনেরা। বোনেদের হাতেও উপহার হিসাবে তুলে দেওয়া হয় একটি করে শাড়ি। এছাড়াও এদিন মেমারি, রায়না, গলসি, কালনা, কাটোয়া,ভাতার বিভিন্ন ব্লকের প্রতি অঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে গণ ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়।
Advertisement