যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হল তিলপাড়া ব্যারেজ মেরামতির কাজ। মেরামতির কাজ পরিদর্শন করলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভূঁইয়া। জানা গিয়েছে, ব্যারাজটি সংস্কার করার জন্য কলকাতার ম্যাকিনটস বার্ন সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছে।
মানস ভূঁইয়া এলাকা পরিদর্শনের পর মঙ্গলবার দৈনিক স্টেটসম্যানকে জানিয়েছেন, ‘গতকাল রাতেই সিউড়িতে এসেছিলাম যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তিলপাড়া ব্যারেজ মেরামতির কাজ দেখতে। সেই সঙ্গে ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পর্যালোচনা এবং বিস্তারিতভাবে কথা বলতে। গভীর রাত্রি অবধি দফায় দফায় এসিএস, চিফ ইঞ্জিনিয়ার, এসই ডিএম সাহেবকে নিয়ে আলোচনা করেছি। যেখানে মেরামতির কাজ চলছে, আজ দুপুরে সেখানে সমস্ত আধিকারিকদের নিয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখি। সকলেই ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছেন, মেরামতির এই সময়ে যাতে বৃষ্টি না হয়। আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছা ও সহায়তায় মনের জোর নিয়ে আমরা কাজ করছি। বীরভূম জেলা প্রশাসনের কর্তারা সবরকম সাহায্য করছেন।’
জানা গিয়েছে, ডাউনস্ট্রিমের চারটি ডিভাইডার বসে সঙ্কটের মুখে পড়েছে তিলপাড়া ব্যারেজ। আবার বাঁধের অন্তত ১০টি গেটের ওয়াটার ডিভাইডারে বড়সড় ফাটল, কোথাও কোথাও আংশিক ধসও নেমেছে। সেজন্য শনিবার থেকেই নতুন পদ্ধিততে এই বাঁধের মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। মেরামতির সময়ে বন্ধ রাখা হয়েছে এখানকার যান চলাচল ব্যবস্থা। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় জল কমিশনের বিশেষজ্ঞ দল পরিদর্শন করেছেন জলাধার এলাকা। নেতৃত্বে রয়েছেন বিশেষজ্ঞ জুলফিকার আহমেদ। তাঁর পরামর্শে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে মেরামতির কাজ।
রাজ্য সেচ দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার দেবাশিস সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, ‘সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের অফিসার, ইঞ্জিনিয়াররা এসেছেন। দ্রুত কাজ শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
নির্মাণকারী সংস্থা ম্যাকিনটস বার্ন-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিনয় মজুমদার সম্প্রতি জানিয়েছেন, ‘ড্যাম বিশেষজ্ঞ ডক্টর জুলফিকার আহমেদ এখানে যে ভাবে কাজ করতে বলবেন, আমরা সেই ভাবেই কাজ করব। এখানে আমরা মূলত বোল্ডার আনার চেষ্টা করছি। এখানে দক্ষ শ্রমিকেরও প্রয়োজন। তাঁদেরকেও আনা হচ্ছে। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে কাজ কবে শেষ হবে, সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে আমরা চেষ্টা করছি, যাতে ১৫ দিন কিংবা মাস খানেকের মধ্যে প্রাথমিক কাজ শেষ করা যায়।’