২০২১ সালের ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেই উত্তর কলকাতার কাঁকুড়গাছিতে ‘খুন’ হন বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। সেই ঘটনার চার বছর পর, বুধবার সিবিআই যে চার্জশিট পেশ করেছে, তাতে নাম রয়েছে তৃণমূলের তিন গুরুত্বপূর্ণ নেতা-নেত্রীর। তাঁরা হলেন – বেলেঘাটার বিধায়ক ও কলকাতা পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পরেশ পাল, ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষ।
চার্জশিটে নাম থাকা নেতা-নেত্রীদের দাবি, তাঁরা এখনও সিবিআইয়ের চার্জশিট হাতে পাননি, সংবাদ মাধ্যম থেকেই বিষয়টি জানতে পেরেছেন। তবে আইনি পরামর্শ নেওয়ার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করেছেন তাঁরা। পাশাপাশি, দল কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেই দিকেও তাঁরা নজর রাখছেন। স্বপন সমাদ্দার বলেন, ‘বুধবার বিকেলে সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমেই জানতে পারি আমাদের নাম চার্জশিটে রয়েছে। এখনও কোনও সরকারি নথি পাইনি। হাতে পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ করব। দল যা বলবে, সেটাই মেনে চলব।’ সূত্রের খবর, তিনি ইতিমধ্যে নিজের আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
Advertisement
অন্যদিকে, দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার কারণে সক্রিয় রাজনীতি থেকে কিছুটা দূরে থাকা পরেশ পালও চার্জশিটে নিজের নাম থাকায় আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ এখন অসুস্থ। বিধানসভার অধিবেশনেও তাঁকে দীর্ঘদিন দেখা যায় না। যোগ দেন না বিধানসভার কমিটির বৈঠকেও। বেলেঘাটার বিধায়ক হওয়ার পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরও পরেশ। কলকাতা পুরসভার পুর অধিবেশনে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে তিনি যোগ দিতে পারেননি অসুস্থতার জন্যই। অন্যদিকে পাপিয়া ঘোষ বলেন, ‘চার্জশিট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলব না।’ দলীয় নির্দেশের অপেক্ষায় আছেন তিনিও।
Advertisement
তৃণমূলের একাংশের দাবি, ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই মামলা নতুন করে সামনে আনা হচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, সেদিন বেলেঘাটা কেন্দ্রের গণনায় দেরি হওয়ায় পরেশ, স্বপন ও পাপিয়া – তিনজনই ছিলেন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। ফলে ঘটনার সময় তাঁরা ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলেই দাবি তাঁদের ঘনিষ্ঠদের। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, আইনগতভাবে এই বিষয়ে জবাব দেওয়া হবে, পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবেও এর মোকাবিলা করা হবে।
Advertisement



