মমতার সরকারকে ৯০০ কোটি টাকার ঋণ দিতে পারে বিশ্বব্যাঙ্ক

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Photo:SNS)

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজ আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পাশে দাঁড়াচ্ছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। সংবাদ সংস্থা আইএএনএস সূত্রে খবর, উন্নয়নমূলক আর্থিক প্রকল্প গুলিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ১২.৫০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৯১২ কোটি টাকা।

সূত্রের খবর, দ্রুত এই ঋণে অনুমােদন দিতে পারে বিশ্বব্যাঙ্ক। তৃতীয় বার রাজ্যে সরকার গঠনের পর থেকে একাধিক আর্থিক প্রকল্পের ঘােষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প যেমন জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তেমনই তড়তড়িয়ে বাড়ছে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের আবেদনপত্র জমা দেওয়ার লাইন।

তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসার পর থেকেই কার্যত ‘কল্পতরু’ মমতা। একের পর এক শুরু ঘােষণা করে যাচ্ছেন। তার উপর আগে থেকে যে প্রকল্প-ভাতাগুলি চালু ছিল, সেগুলি তাে রয়েছেই। একে তাে, তার উপর মুখ্যমন্ত্রীর একের পর এক ঘােষণা।


এই পরিস্থিতিতে, এত বিশাল অঙ্কের টাকা কীভাবে জোগাড় হবে? মুখ্যমন্ত্রীর ঘােষণার সঙ্গে তাল মিলিয়ে দৌড়াতে গিয়ে মাথায় ঘাম পায়ে পড়ছিল রাজ্য সরকারের আমলা থেকে শুরু করে সরকারি আধিকারিকদের। এবার বিশ্ব ব্যাঙ্ক পাশে দাঁড়ানােয় এই দুশ্চিন্তা কিছুটা হলেও কমল রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের।

সূত্রের খবর, উইমেনস এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড ইনক্লসিভ সােশ্যাল প্রােটেকশন প্রােগ্রামের আওতায় এই আর্থিক সাহায়ের পরিকল্পনা করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। সবকিছু ঠিক থাকলে, খুব তাড়াতাড়ি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জন্য ৯১২ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করতে পারে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।

উল্লেখ্য, রাজ্যে বর্তমানে যে প্রকল্প ও ভাতাগুলি চালু রয়েছে, তার বেশিরভাগই মহিলাদের জন্য। আর এই বিষয়টিই বিশ্ব ব্যাঙ্কের নজর কাড়তে সাহায্য করেছে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। ‘কন্যাশ্রী’, ‘রূপশ্রী’ থেকে শুরু করে সম্প্রতি চালু হওয়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সবই মহিলাদের উন্নয়নের জন্য।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তফসিল জাতি ও উপজাতির মহিলান্দ্রে জন্য মাসে ১০০০ টাকা দেওয়া হবে এই প্রকল্পের আওতায়। এছাড়া, ‘স্বাস্থ্যসাথী’, ‘সবুজসাথী’, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মতাে সুবিধাও রয়েছে ।

সবমিলিয়ে এত আর্থিক প্রকল্প ও ভাতার চাপ সামাল দিতে গিয়ে রীতিমতাে হিমশিম খাচ্ছিলেন রাজ্য সরকারে কর্মীরা। সেই চাপ এবার কিছুটা কমবে বলে আশা করছেন অনেকে।