রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে বর্তমানে শিশুদের জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট জনিত উপসর্গের খবর আসছে। এই পরিস্থিতিতে শিশুদের জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের উপসর্গ সম্পর্কে গাইডলাইন (স্টান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর) ঘােষণা করল স্বাস্থ্য ভবন।
বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশে গঠিত ওই গাইড লাইনে মূলত আক্রান্ত শিশুকে পর্যবেক্ষণের পদ্ধতি, তার ঘরােয়া চিকিৎসা এবং কীভাবে বিপদের পূর্বাভাস বুঝে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে তা বলা হয়েছে।
Advertisement
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতে জ্বরে ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা বাড়ছে। এই কোভিড পরিস্থিতিতে শিশুদের এই জ্বর নিয়ে যথেষ্ট সতর্ক রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
Advertisement
পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায় সেই বিষয়ে নজর রাখতেই একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছিল স্বাস্থ্য ভবন। সূত্রের খবর সেই কমিটির সদস্যেরাই ভাইরাস ঘটিত জ্বরের কারণ খুঁজে তার চিকিৎসা পদ্ধতি সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রস্তুত করেছে।
এমনকি যেসব শিশু এই সমস্ত উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাদের চিকিৎসা পদ্ধতি সংক্রান্তও নির্দেশিকা রয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতন্ত্রে ওই ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর’-এ। নির্দেশিকাতে দেওয়া রয়েছে, কোন পরিস্থিতিতে, কীভাবে অক্সিজেন বা ভেন্টিলেটর ব্যবহার করতে হবে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে কলকাতা মেডিকেল কলেজে ও হাওড়া, হুগলি থেকে আসা শিশু জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছে। ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গের মালদহ জলপাইগুড়ি জেলাতে এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গেও প্রচুর শিসু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে।
এই সমস্ত উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ শিশুদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে ‘স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন’ এবং উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেই পরীক্ষাতে এই জ্বরের কারণ হিসাবে ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি এবং রেসপিরেটরি সিনসেটিয়াল ভাইরাস (আরএস ভাইরাস) কে চিহ্নিত করা হয়েছে।
Advertisement



