অভাব ও বেকারত্বের জ্বালায় বাবা-মাকে খুন করল পুত্র

অভাবের তাড়নাতে উচ্চ শিক্ষিত ছেলের হাতে খুন হলেন বাবা-মা। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া শিবপুরের কৈপুকুর এলাকাতে।একটি আবাসনের চারতলা দুর্গন্ধ আসছিল।

Written by SNS Kolkata | November 19, 2020 12:49 pm

প্রতীকী ছবি (File Photo: iStock)

অভাবের তাড়নাতে উচ্চ শিক্ষিত ছেলের হাতে খুন হলেন বাবা-মা। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া শিবপুরের কৈপুকুর এলাকাতে। ওই এলাকাতে একটি আবাসনের চারতলা একটি ফ্ল্যাট থেকে কয়েকদিন ধরেই দুর্গন্ধ আসছিল। কিন্তু ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে ডেকেও কারওর সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না।

বুধবার সেই দুর্গন্ধে অতিষ্ট হয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ এসে সেই বন্ধ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢােকেন। ভিতরে ঢুকে পুলিশ কর্মীরা দেখতে পান ডাইনিং হলের সােফাতে পড়ে রয়েছে মা গােপা বসুর মৃতদেহ। পাশের ঘরে বিছানার উপর পড়ে রয়েছে বাবা প্রদ্যোৎ বসু দেহ এবং অন্য একটি ঘরের বিছানার উপর রক্ত মাখা অবস্থায় বসে রয়েছেন ছেলে শুভজিৎ বসু। এরপর দেহ দুটি ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। এবং ছেলে শুভজিৎকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

পুলিশের দাবি ছেলে শুভজিৎ স্বীার করেছে যে, সে বাবা-মাকে খুন করে নিজেও আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু সফল হননি। পরিবার সূত্রের খবর, শুভজিৎ উচ্চ শিক্ষিত ছিল। এমসিএ পাস করা সত্ত্বেও কোনও কাজ পাচ্ছিলেন না। তাই মানসিক অবসাধে ভুগছিলেন তিনি। এর পাশাপাশি পুরাে পরিবারই কয়েকদিন ধরে আর্থিক কষ্টে ভুগছিল। শুভজিংয়ের বাবা ব্রিজ অ্যান্ড রুফ কোম্পানির অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ছিলেন।

কিন্তু এই মুহুর্তে তার কোনও প্রকার রােজগার ছিল না। এই কারণে গােটা পরিবার প্রতিবেশীদের সঙ্গে মেলামেশা পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছিল। ছেলেকেও প্রতিবেশীরা বিশেষ বাইরে দেখতেন না। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, ছেলে শুভজিৎ পুরােপুরি মানসিক ভাবে সুস্থ নন। এবং মানসিক অবসাদ থেকেই ছেলে তাঁর বাবা মাকে খুন করেছেন। তবে মৃতদেহ যেহেতু পচাগলা অবস্থাতে পাওয়া গিয়েছিল, তাই কিভাবে খুন করা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে এর জন্য পুলিশ। ময়নাতদজ্ঞের রিপাের্টের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে।