মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিটি বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা তা ভালাে চোখে দেখছেন না। তৃণমূলের মহাসচিবের মন্তব্য ছিল, উনি রাজ্যপাল পদের মর্যাদা লঙ্খন করছেন। বিজেপির প্রতিনিধি দলের মতাে কাজ করছেন।
অবশেষে বৃহস্পতিবার রাজ্যপালকে সরাসরি বিজেপির লােক বলে পাল্টা তােপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে বর্ধিত ওয়াকিং কমিটির বৈঠক শেষে রাজ্যপালকে ছেড়ে কথা বলেননি তিনি।
সংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, বিজেপি পার্টির লােকজনকে নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। আমি কোনও উত্তর দেব না। উনি বিজেপির লােক।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যলয়কাণ্ড থেকে শুরু করে একাধিক ইস্যুতে রাজ্যপালের সঙ্গে সরকারের সংঘাত শুরু হয়েছে। আর সেই সংঘাতের পারদ ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজ্যপাল সবশেষে আয়ুস্মান প্রকল্প নিয়ে সরকারকে একহাত নিয়েছেন। রাজ্যপালের বক্তব্য ছিল, আয়ুষ্মন স্বাস্থ্য প্রকল্পটি সারা পৃথিবীতে স্বীকৃতি পেয়েছে অথচ এই রাজ্যে আযুম্মান প্রকল্পটি চালু করা হয়নি। তিনি মনে করেন, সব কিছুতেই এখন রাজনীতি হচ্ছে। এমনকি রাজনীতি থেকে আয়ুষ্মন প্রকল্পটিও বাদ যায়নি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে লােকসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্যে স্বাস্থ্যবিমার কথা ঘােষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেকারণে এই প্রকল্পের রাজ্যে প্রয়ােজনীয়তা নেই বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। আয়ুষ্মন প্রকল্পের বিভিন্ন কর্মধারার কথা উল্লেখ করে রাজ্যপাল বলেন, সারা পৃথিবীতে এটা স্বীকৃতি পেলেও রাজ্যের মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তবে যা কিছু হচ্ছে, সেটা মােটেই বাঞ্চনীয় নয়।
রাজ্যপাল মনে করেন, সাধারণ মানুষের জন্য যে অথই আসুক না কেন, সেটা যথাযথভাবে ব্যবহার করা প্রয়ােজন। কোন প্রকল্প থেকে টাকা আসল সেটা থেকে বড় হল মানুষের কাজে সেটা যাতে কার্যকর করা যায়, সেটা দেখতে হবে।