• facebook
  • twitter
Sunday, 14 December, 2025

২০১২ সালে টেট উত্তীর্ণদের শংসাপত্র দেওয়ার কথা ভাবছে পর্ষদ

শিক্ষকদের দুশ্চিন্তা কাটাতেই শংসাপত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

২০১২ সালে নিয়োগ হওয়া প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের টেট পাশের সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা ভাবছে পর্ষদ। সুপ্রিম কোর্ট দেশের সব প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের টেট পাস করা বাধ্যতামূলক বলে রায় দেয়। এরপরেই দুশ্চিন্তায় পড়েন কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ২০১২ সালে নিয়োগ হওয়া প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের টেট পাসের কোনও সার্টিফিকেট নেই। তখন টেট পরীক্ষার শংসাপত্র দেওয়ার চল ছিল না। মেধাতালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হত। শিক্ষকদের দুশ্চিন্তা কাটাতেই শংসাপত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

২০১৫ সাল থেকে টেটের সার্টিফিকেট দেওয়ার নিয়ম চালু করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। টেট পাস করলেই প্রাথমিকে চাকরি মিলবে এমনটা নয়। পাসের মেয়াদ তিন বছর পর্যন্ত থাকার জন্য টেটে শংসাপত্র দেওয়া শুরু হয়। এখনও তাই চলছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেই দুশ্চিন্তায় পড়েন কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ‘শিক্ষকরা বিপদে পড়ুক পর্ষদ সেটা চায় না। শংসাপত্র দেওয়া হবে। তবে সেই সময়ের নিয়মকানুন কী ছিল, কেন তখন শংসাপত্র দেওয়া হয়নি, তা দেখতে হবে। আইনজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করা হবে।  এই বিষয়গুলি  ভালো করে দেখে সিদ্ধান্ত নেব।‘

Advertisement

পর্ষদের এক আধিকারিক জানিয়েছেন,  শংসাপত্র নিয়ে কর্মরত শিক্ষকরা একাধিক ফোন করেছেন। তাঁদের উদ্বিগ্ন হওয়া স্বাভাবিক। পরীক্ষার পদ্ধতি, নিয়োগের নিয়ম দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। সরকার পোষিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রথম টেট নেওয়া হয়। ২০১২ সালে প্রাথমিক টেটে প্রায় ১২ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছিলেন।

Advertisement

Advertisement