• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

দারিদ্র্যকে জয় করে সাফল্য, ছাত্রের পাশে বসিরহাট পুলিশ

অভাবের সঙ্গে লড়াই করেও সাফল্যের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের পলতা গ্রামের মেধাবী ছাত্র অঙ্কন মণ্ডল।

অভাবের সঙ্গে লড়াই করেও সাফল্যের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের পলতা গ্রামের মেধাবী ছাত্র অঙ্কন মণ্ডল। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে তাক লাগানো ফলাফলের পর তিনি সম্প্রতি নিট পরীক্ষায় ৮১০ র‍্যাঙ্ক অর্জন করেছেন। কিন্তু তাঁর পরিবারের আর্থিক অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে, ডাক্তারি পড়ার স্বপ্ন তাঁর কাছে ক্রমশ ফিকে হয়ে আসছিল। এমন সময়ে ত্রাতা হিসাবে তাঁর পাশে এসে দাঁড়ালেন বসিরহাট জেলা পুলিশের আধিকারিকেরা।

অঙ্কনের বাবা পীযুষ মণ্ডল একজন কৃষক। তাঁর সীমিত আয়ে সংসার চালানোই যেখানে কঠিন, সেখানে ছেলের উচ্চশিক্ষার ভার বহন করা প্রায় অসম্ভব। এই পরিস্থিতিতে অঙ্কন নিজেই বসিরহাট জেলা পুলিশের সুপার ড. হোসেন মেহেদি রহমানের কাছে আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করেন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে পুলিশ সুপার ও স্বরূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অরিন্দম হালদার-সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা সরাসরি অঙ্কনের বাড়িতে হাজির হন।

Advertisement

বসিরহাট জেলা পুলিশের এই মানবিক উদ্যোগে আপ্লুত অঙ্কন ও তাঁর পরিবার। পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে তাঁকে একটি ল্যাপটপ, স্টেথোস্কোপ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী উপহার দেওয়া হয়। এছাড়াও তাঁর পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য আর্থিক সাহায্যও দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সুপার ড. হোসেন মেহেদি রহমান সংবাদমাধ্যমে জানান, ‘জেলার প্রতিটি দুঃস্থ ও মেধাবী পড়ুয়ার পাশে থাকা আমাদের কর্তব্য। আমরা সবসময় তাদের পাশে ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকব।’

Advertisement

অঙ্কনের বাবা পীযুষ মণ্ডল পুলিশের এই সাহায্যের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘পুলিশ সুপার যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাঁর এই ঋণ কোনোদিন শোধ করা যাবে না। তাঁর এই উপকারের কথা আমরা কোনোদিন ভুলব না।’

Advertisement