১২ মার্চ মনােনয়ন জমা শুভেন্দুর, সঙ্গী হতে পারেন স্মৃতি, ধর্মেন্দ্র

নীলবাড়ির লড়াইয়ে ‘হাইভােল্টেজ’ আসন নন্দীগ্রামের জন্য ১০ মার্চ তিনি মনােনয়ন জমা দেবেন বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Written by SNS Kolkata | March 9, 2021 5:04 pm

স্মৃতি ইরানি (File Photo: IANS)

বুধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রে শুভেন্দু অধিকারী। নীলবাড়ির লড়াইয়ে ‘হাইভােল্টেজ’ আসন নন্দীগ্রামের জন্য ১০ মার্চ তিনি মনােনয়ন জমা দেবেন বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার রাজ্য বিজেপি জানিয়ে দিল, দলের নন্দীগ্রামের প্রার্থী শুভেন্দু মনােনয়ন জমা দেবেন শুক্রবার ১২ মার্চ।

বিজেপি সূত্রের খবর, ওই দিন তাঁর সঙ্গে থাকতে পারেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবং ধর্মেন্দ্র প্রধান। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র এর আগেও হলদিয়ায় নরেন্দ্র মােদির সভার সময় পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেই ছিলেন।

অন্য দিকে, অমিত শাহ সফর বাতিল হওয়ায় হাওড়ার মুরজলার সভায় এসেছিলেন স্মৃতি। এর পরে বিজেপি-র ‘পরিবর্তন যাত্রা’ কর্মসূচিতে যােগ দিতেও রাজ্যে এসেছিলেন স্মৃতি। পেট্রোপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে তার আগেই ই-স্কুটার চালিয়ে নব্বান্নে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

স্মৃতিও তার পাল্টা বাংলায় এসে স্কুটার চালিয়ে দেখান। শুভেন্দুর মনােনয়নের সময় ধর্মেন্দ্র ও স্মৃতিকে বিজেপি হাজির করতে চাইছে। মনােনয়নকে আরও ওজনদার এবং রংদার করার জন্য। শুধু শুভেন্দু বা রাজ্য বিজেপি নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা প্রার্থী হওয়ায় নন্দীগ্রাম আসনকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন পদ্মের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। খােদ প্রধানমন্ত্রী মােদীও রবিবার ব্রিগেড সমাবেশ থেকে একটি মাত্র বিধানসভা এলাকার নামই উল্লেখ করেছেন-নন্দীগ্রাম।

প্রসঙ্গত, এতদিন হলদিয়ার ভােটার থাকলেও এবার শুভেন্দু নন্দীগ্রামের ভােটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। তাও নির্বাচনে প্রার্থিপদ ঘােষণার যথেষ্ট আগেই। সম্প্রতি তাঁর নাম নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে ঘােষণার পর শুভেন্দু একটি জনসভায় প্রকাশ্যেই বলেছেন, “এবার কিন্তু আমি নন্দীগ্রামে ভােট দেব। আপনাদের সঙ্গেই ভােট দেব।

ভােটের আগে, ভােটের দিন দেখা হবে। আর ভােটের পর সবসময় দেখা হবে। যেমন গত কুড়ি বছর ধরে হয়ে এসেছে।” এ দিকে নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে কার্যত মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, নন্দীগ্রাম আমার সবথেকে লাকি জায়গা। নন্দীগ্রাম থেকে ২০২১- এ তৃণমূল জিতবে। নন্দীগ্রাম থেকেই শুরু হল তৃণমূলের জেতার পালা। কারও নাম এখনই বলছি না। পরে বলব। ভালাে মানুষ দেব, যিনি সত্যিকারের আপনাদের পাশে থেকে কাজ করবেন।

আমিই যদি নন্দীগ্রামে দাঁড়াই কেমন হয়। ভাবছিলাম কথার কথা। একটু বললাম। একটু ইচ্ছে হল। একটু আমার মনের জায়গায়। সুব্রত বক্সিকে আমার নাম মনে রাখতে বন্ধ। শুক্রবার প্রার্থী তালিকা ঘােষণা হওয়ার পর দেখা যায়, শুধু নন্দীগ্রামকেই ফোকাস করছেন তিনি। সেখান থেকে প্রার্থী হয়েছেন মমতা।