• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

দলত্যাগী বিধায়কদের নিয়ে হাইকোর্টে লিখিত বক্তব্য জমা দিলেন শুভেন্দু

বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে সম্প্রতি মামলার শুনানি শেষ হলেও রায় স্থগিত রাখা হয়েছে।

দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল রাজ্য রাজনীতি। বিজেপির একাধিক বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তাঁদের বিধানসভায় গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে বিতর্ক। সেই বিতর্ক এবার নতুন মোড় নিল। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে লিখিত আকারে নিজের বক্তব্য পেশ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

২০২১ সালের ভোটের পর বিজেপির আট-নয় জন বিধায়ক তৃণমূলে চলে যান। বিজেপি দাবি করে, তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজের আর্জি জানানো হলেও স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও পদক্ষেপ নেননি। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি।

Advertisement

সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল মুকুল রায়কে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসসি) চেয়ারম্যান করার ঘটনা নিয়ে। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েও তিনি সেই পদে বসেন। এর বিরুদ্ধেই শুভেন্দু প্রথম মামলা করেন। পরে মুকুল পদ ছাড়লেও তাঁর জায়গায় আসেন আর এক দলত্যাগী বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। আবার ২০২৪ সালের ভোটের আগে কৃষ্ণ পদত্যাগ করলে, সেই একই পদে বসানো হয় আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালকে। ফলে বিজেপির ক্ষোভ আরও বাড়ে।

Advertisement

বিজেপির দাবি, দলত্যাগী বিধায়কদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে গণতান্ত্রিক শিষ্টাচার ভঙ্গ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে সাড়ে চার বছর ধরে পিএসসির বৈঠকে তাঁরা যোগ দেননি। শুভেন্দুর বক্তব্য, স্পিকার ইচ্ছে করেই দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করছেন না।

বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে সম্প্রতি মামলার শুনানি শেষ হলেও রায় স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়ার সুযোগ দেন বিচারপতিরা। সেই নির্দেশ মেনেই সোমবার হাইকোর্টে নিজের আর্জি জমা দিলেন শুভেন্দু।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মামলার রায় শুধু কয়েকজন বিধায়কের ভাগ্য নির্ধারণ করবে না, বরং পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগের পদ্ধতিতেও বড় প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে আদালতের রায় ঘিরে এখন কৌতূহল সর্বত্র।

Advertisement