কলকাতা হাইকোর্টের এক আইনজীবী এবং তাঁর পুত্রকে পুলিশি হেনস্থার অভিযোগে শুক্রবার আদালত চত্বরে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এক দিনের কর্মবিরতির ডাক দেন আইনজীবীরা। এর ফলে শুক্রবার হাইকোর্টে কোনও মামলার শুনানি হয়নি। বিচারপতিরা এজলাসে এলেও আইনজীবীরা অনুপস্থিত থাকায় একের পর এক মামলার শুনানি স্থগিত থাকে। ফলে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হয় বহু মামলাকারীকে।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার রাতে। ওই দিন সল্টলেকে নিজের বাড়ির সামনে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রণেন্দ্রনারায়ণ রায়ের পুত্র মনুজেন্দ্রনারায়ণ রায় এবং পৌত্র সৌরিন্দ্রনারায়ণ রায়কে সাদা পোশাকে পুলিশের একটি দল হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, পুলিশের মারধরে মনুজেন্দ্রনারায়ণের পেলভিসের হাড় ভেঙে যায়। সৌরিন্দ্রনারায়ণ রায় বিধাননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
Advertisement
এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠকে এক দিনের কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং তা লিখিতভাবে প্রধান বিচারপতিকে জানানো হয়। জানানো হয়, আগামী সোমবার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে। ধর্মঘটের ফলে শুক্রবার হাইকোর্টে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি পিছিয়ে যায়। অনেকেই দীর্ঘ দূরত্ব পেরিয়ে আদালতে পৌঁছে শুনানি না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
Advertisement
এদিকে, বৃহস্পতিবারই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে ঘটনার প্রাথমিক শুনানি হয়। আদালত নির্দেশ দেয়, বুধ ও বৃহস্পতিবারের সিসিটিভি ফুটেজ অবিলম্বে সংরক্ষণ করতে হবে এবং বিধাননগর পুলিশকে দ্রুত এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করতে হবে। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে আপাতত দায়িত্ব থেকে সরানোরও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। এই ঘটনার জেরে আইনজীবী মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আপাতত সোমবারের দিকে তাকিয়ে গোটা আদালত মহল।
Advertisement



