• facebook
  • twitter
Monday, 8 December, 2025

বিধানসভা নির্বাচনের আগে উন্নয়ন প্রকল্পে গতি আনতে তৎপর রাজ্য

২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে উন্নয়নকেই এখন অগ্রাধিকার দিচ্ছে রাজ্য সরকার

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

জনমুখী সমস্ত প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে পদস্থ আধিকারিকদের নতুন করে দায়িত্ব দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। যে সব কাজের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সরাসরি সংযোগ রয়েছে, সেই সমস্ত কাজের ক্ষেত্রে অগ্রগতি সন্তোষজনক নয় বলে মনে করছে নবান্ন। সেই কারণেই কাজের ক্ষেত্রে গতি আনতে জেলায় জেলায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে উন্নয়নকেই এখন অগ্রাধিকার দিচ্ছে রাজ্য সরকার। 

প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রথমে নজর দেওয়া হবে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে। পদস্থ আধিকারিকরা ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখবেন। উপভোক্তারা দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পেয়েছেন কিনা তা জানার পর, যাঁরা পাননি, তাঁরা কেন পাননি তা খতিয়ে দেখা হবে। যাঁরা টাকা পেয়েছেন, তাঁরা সেই টাকায় বাড়ি তৈরি করেছেন কিনা তাও দেখা হবে। বাড়ি তৈরি যদি অসম্পূর্ণ থাকে, তবে তা কেন অসম্পূর্ণ রয়েছে, তাও জানবেন এই আধিকারিকরা। জমির অভাবে যদি কেউ বাড়ি তৈরি করতে না পারেন, তবে তাঁকেও সঠিকপথে কীভাবে এগোতে হবে তার উপায় বলে দেবেন এই দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা।
 
সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। ভোটের প্রচারে উন্নয়নকেই হাতিয়ার করতে চায় রাজ্যের শাসকদল। ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে উপকৃত হয়েছেন বহু মানুষ। ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুরে এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১ লক্ষ ৯ হাজার বাড়ি তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আবার ডিসেম্বরের মধ্যেই এই প্রকল্পে আরও ১ লক্ষ ৭৬ হাজার উপভোক্তাকে বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হবে বলে প্রশাসনসূত্রে জানা গিয়েছে। 
 
অন্যদিকে ‘পথশ্রী’ প্রকল্পে বিভিন্ন জেলার রাস্তাঘাটের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। জেলার বহু রাস্তাকে ঘিরে মানুষের ক্ষোভ প্রশমিত করতে পথশ্রী-৪ প্রকল্পে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ৬৫৯টি নতুন রাস্তা হয়েছে। যেসব রাস্তা কাঁচা কিংবা কাদার জন্য চলাচল করা সম্ভব হতো না, রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে নাভিশ্বাস উঠতো, সেই সব রাস্তার উন্নয়নে  নজর দেওয়া হয়েছে। 
 
আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান‘ প্রকল্পে প্রতি বুথে ১০ লক্ষ টাকা করে বরাদ্ধ হয়েছে। প্রতিটি ব্লকে ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকা করে দেওয়া হয়েছে। সেই টাকায় নিকাশী ব্যবস্থা, স্কুল বিল্ডিং-এর সংস্কার, রাস্তাঘাট, তৈরি হবে। মানুষের অভিযোগ মেটাতে প্রয়োজনমতো যেসব কাজ করা হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখবেন এই আধিকারিকরা।
রাজ্যের নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়া শেষ হলেই শুরু হয়ে যাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি। তার আগেই দ্রুত কাজ শেষে করতে ততপর রয়েছে রাজ্য প্রশাসন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যের পদস্থ আধিকারিক মণীশ জৈনকে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিনোদ কুমারকে। ঝাড়গ্রামে দায়িত্বে রয়েছেন ছোটেন ডি লামা। তাঁরা শীঘ্রই জেলা সফরে গিয়ে প্রকল্পগুলির অগ্রগতি পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।

Advertisement

Advertisement