লাগাতার বাংলার প্রতি বঞ্চনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনায় বঞ্চনার পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকার সড়ক উন্নয়নও বন্ধ রেখেছে নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি সরকার। কিন্তু তা সত্ত্বেও গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নের কাজ জারি রেখেছে রাজ্য। আগামী বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে গ্রামীণ এলাকায় ১৫ হাজার কিলোমিটারের বেশি রাস্তা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে নবান্ন। দুর্গাপুজোর পরেই পঞ্চায়েত দপ্তরকে এব্যাপারে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই রাস্তা তৈরিতে ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
গত সোমবার রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে এই কাজ শুরু করা নিয়ে ভার্চুয়াল কনফারেন্স করেছে পঞ্চায়েত দপ্তর। মঙ্গলবার এই কাজের পোর্টাল সংক্রান্ত বৈঠকও সম্পন্ন হয়েছে। ডিসেম্বরে জারি করা হতে পারে ওয়ার্ক অর্ডার। সূত্রের খবর, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর হেল্পলাইন নম্বরে আসা অনুরোধ যাচাই করে রাস্তা চিহ্নিতকরণ করা হবে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পাঠানো তালিকা থেকে বেছে নিয়ে রাস্তা তৈরির কাজ করা হবে। গত ২০২০ সালে গ্রামীণ রাস্তা উন্নয়নের জন্য রাজ্যে পথশ্রী প্রকল্প শুরু হয়েছিল। তারপর পথশ্রী ২ ও পথশ্রী ৩ প্রকল্পও কার্যকর হয়েছে রাজ্যে। তবে ১৫ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরির প্রকল্পের নাম পথশ্রী ৪ হবে কি না তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। জানা গিয়েছে, গত বছরের তুলনায় গ্রামীণ রাস্তা উন্নয়নের কাজে টাকা বরাদ্দের অঙ্ক দ্বিগুণ বাড়ানো হচ্ছে।
Advertisement
২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে শেষবার বাংলায় ৩,৩০০ কিমি গ্রামীণ রাস্তার অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্র। তারপর থেকে আর কোনও অনুমোদন মেলেনি। কেন্দ্রের সহায়তা প্রাপ্ত ‘প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা-৩’-এ বাংলার লক্ষ্যমাত্রা ছিল মোট ৬,২৫৫ কিমি রাস্তার। এর মধ্যে এখনও প্রায় ২,০১৯ কিমির অনুমোদন দেয়নি নরেন্দ্র মোদীর সরকার। যে ৪,২৩৬ কিমি রাস্তার অনুমোদন এসেছে তার জন্য মোট ২,৫০০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার কোটি টাকা এখনও বকেয়া রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিজের তহবিলের টাকা থেকে বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে ১৫ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে নবান্ন।
Advertisement
Advertisement



