মহাকরণে চলল গুলি, পুলিশকর্মীর দেহ উদ্ধার

মহাকরণে আচমকাই এদিন দুপুরে গুলি চলার শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। গুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মহাকরণের কর্তব্যরত সরকারি আধিকারিকরা।

Written by SNS Kolkata | July 4, 2020 9:38 am

মহাকরণে পুলিশকর্মীর দেহ উদ্ধার। (Photo: IANS)

মহাকরণে আচমকাই এদিন দুপুরে গুলি চলার শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। গুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মহাকরণের কর্তব্যরত সরকারি আধিকারিকরা। খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায়, গুলিটি এক পুলিশকর্মীর সার্ভিস রিভলবার থেকে চলেছে। পাশেই ওই কনস্টেবলের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় মন্ত্রণ চত্বরে।

রক্তস্নাত অবস্থায় ওই পুলিশকর্মীর দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান লালবাজারের শীর্ষকর্তারা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা।

পুলিশি সুত্রে খবর, শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ মহাকরণে গুলি চলার শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। রাইটার্স বিল্ডিংসের ৬ নম্বর গেটের কাছে প্রেস কর্নার সংলগ্ন অংশে কলকাতা পুলিশের এক কনস্টেবলের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়।

গুলিটি ওই কনস্টেবলের সার্ভিস রিভলবার থেকেই চলেছে। তবে অসাবধানতাবশতঃ গুলিটি চলেছে, নাকি বিশ্বজিৎ কারক আত্মঘাতী হয়েছেন, তা জানতেই ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।

ঘটনার পরই মহাকরণে ছুটে যান ডিসি (সেন্ট্রাল) সুধীর নীলকান্তম। কনস্টেবল বিশ্বজিৎ কারকের দেহ উদ্ধার করে দ্রুত মেডিকেল কলেজে নিয়ে যায় হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ। সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, বছর ৩৬-এর বিশ্বজিৎ কারক কলকাতা পুলিশের যষ্ঠ ব্যাটেলিয়নের কনস্টেবল ছিলেন। মেদিনীপুরের আদি বাসিন্দা হলেও বর্তমানে লেকটাউনে পরিবার নিয়ে থাকতেন বিশ্বজিৎ কারক। এই ঘটনার পরেই মৃত পুলিশকর্মীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা।

গোয়েন্দা বিভাগের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, ঘটনার পরই তদন্ত শুরুকরেছে হোমিসাইড শাখার এক বিশেষ টিম। মহাকরণের সেই সময় ছ নম্বর গেটের কাছে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে মহাকরণের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ।

কনস্টেবল আত্মহত্যা করেছেন, নাকি অসাবধানতাবশত এই ঘটনা ঘটেছে, তা জানতেই তদন্তে নেমেছেন গোয়েন্দা বিভাগের বিশেষ টিম। জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে মৃতের পরিবার পরিজনকেও। খোঁজ করা হচ্ছে কনস্টেবল কোনও সুইসাইড নোট লিখে রেখেছিল কিনা। মৃত ব্যক্তির সহকর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কোনওরকম মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কিনা বিশ্বজিৎ কারক।