প্রয়াত অবিভক্ত মেদিনীপুরের সিপিএমের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক দীপক সরকার। মেদিনীপুর শহরের বিধাননগরে নিজের বাসভবনে সোমবার রাত ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। নিজের অঙ্গীকার অনুযায়ী, মৃত্যুর পর দেহদানই হবে তাঁর অন্তিম যাত্রার পরিণতি। বার্ধক্যজনিত কারণেই মৃত্যু হয়েছে দীপক সরকারের। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। বর্ষীয়ান বামনেতার প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজনৈতিক মহলে। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বও।
সোমবার বিকেলেও দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন তিনি। সহকর্মীদের সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছিলেন। কেউ ভাবতেও পারেননি, সেটাই হবে তাঁর শেষ দেখা। বাম রাজনীতিতে দীপক সরকারের অবদান অনস্বীকার্য। মেদিনীপুর স্কুল বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ সামলেছেন তিনি। ট্রেড ইউনিয়ন নেতা হিসাবেও বিশেষ পরিচিতি ছিল তাঁর। ১৯৯২ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত একটানা ২৩ বছর জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। আর ২০২২ সালে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী থেকে তিনি অব্যাহতি নেন।
Advertisement
১৯৮৪ সালে অধ্যাপনা ছেড়ে দলের সর্বক্ষণের কর্মী হন দীপক সরকার। প্রয়াত সুকুমার সেনগুপ্ত তাঁকে সক্রিয় রাজনীতিতে নিয়ে আসেন। মেদিনীপুরে বহু কিছু গড়ে তোলার কারিগর ছিলেন প্রয়াত সিপিআইএম নেতা। তাঁর হাত ধরেই গড়ে উঠেছিল স্পোর্টস ডেভলপমেন্ট অ্যাকাডেমি, বিদ্যাসাগর ইন্সটিটিউট অফ হেলথ, শহিদ ক্ষুদিরাম পরিকল্পনা ভবন। মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ গড়ে তোলার পেছনেও তাঁর অবদানের কথা মেদিনীপুরের মানুষের অজানা নয়।
Advertisement
Advertisement



