আত্মসমীক্ষা প্রয়ােজন সেটাই করছি : পার্থ

লােকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের আশানুরূপ ফল হয়নি। শতাংশের নিরিখে ভােট বাড়লেও ১৮ টি লােকসভা আসনে বিজেপির উত্থানে রীতিমতাে অস্বস্তিতে শাসক দল।

Written by SNS Kolkata | June 25, 2019 11:10 am

পার্থ চট্টোপাধ্যায় (File Photo: IANS)

লােকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের আশানুরূপ ফল হয়নি। শতাংশের নিরিখে ভােট বাড়লেও ১৮ টি লােকসভা আসনে বিজেপির উত্থানে রীতিমতাে অস্বস্তিতে শাসক দল।

প্রায় প্রত্যেকদিনই কোনও কোনও তৃণমূল নেতা দল ছেড়ে বিজেপিতে যােগদান করছেন। এমনই এক পরিস্থিতির উপর দাঁড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আত্মসমীক্ষার প্রয়ােজন রয়েছে। সেই সমীক্ষার কাজ আমরা করছি’।

বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের ভােট ব্যাঙ্কে কেন ধস নামলাে, কি কারণে আশানুরূপ ফল করতে পারলাে না তৃণমূল তা বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। তবে সেই বিশ্লেষণ কতটা চুলচেরা হবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দলের অন্দরে।

এমতাবস্থায় দাঁড়িয়ে পার্থবাবু বলেন বিজেপি বাংলাকে নিয়ে যে স্বপ্নই দেখুক না কেন তা পূরণ হবে না। প্যান্ডেল খাটিয়ে খাটিয়া নিয়ে মুকুল রায় যেভাবে অন্য দলের লােকেদের পতাকা ধরিয়ে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে তৃণমূলকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করেছেন ঠিক একইভাবে দিল্লিতে বসে বিজেপিতেও একই কাজ করছে। ফলে এখানে বিজেপির ফুল ফুটবে না সেটা বিজেপি অচিরেই বুঝবে।

এদিন শীতলকুচিতে ঢুকতে গিয়ে বাধা পান শাসক দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তাঁকে ফিরে আসতে হয়। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজনীতিতে শীতল আনতে গিয়ে শীতলকুচিতে যারা সুব্রত বক্সিকে কালাে পতাকা দেখালেন তারা আর যাই হােক গণতন্ত্রে কালাে মানুষ হিসাবে পরিচিত হচ্ছেন। আমরা চিরকালই মানুষের উপর আস্থা রেখে ডান্ডা আর ঝান্ডা নিয়ে বাহুবলীদের রুখে দিয়েছি। রাজ্য সভাপতি হােক বা সাধারণ টিএমসি কর্মী সবাই মানুষ। গণতন্ত্রে এসব কাম্য নয়।

এরপর পার্থবাবুর কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণেই কি সুব্রত বক্সিকে ফিরে আসতে হল? এ প্রশ্নের উত্তরে পার্থবাবু বলেন, প্রশাসনিক দুর্বলতা যদি থাকে তা প্রশাসনই দেখবে। জানতে চাইবাে তাদের কাছে আগাম কোনও খবর ছিল কি না?