• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ফের রাজ্যসভায় ঋতব্রত, লড়বেন জহরের শূন্য আসনের জন্যই

ঋতব্রতর প্রার্থীপদ পাওয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

নিজস্ব গ্রাফিক্স।

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ পদ ত্যাগ করেছিলেন জহর সরকার। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার ১৫ মাস আগেই অবসর নিয়েছিলেন তিনি। এত দিন ধরে শূন্য পড়েছিল সেই আসন। সেই আসনেই নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। আসন্ন রাজ্যসভার উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ট্রেড ইউনিয়ন নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এই আসনে লড়বেন বলে জানানো হয়েছে। শনিবার সমাজমাধ্যম মারফত এমনটাই ঘোষণা করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে।

তৃণমূল কংগ্রেসের সমাজমাধ্যমে এই মর্মে পোস্ট করে জানানো হয়, ‘আসন্ন রাজ্যসভার উপনির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করা হচ্ছে। ওঁকে আমরা আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আশা করব, উনি রাজ্যসভায় তৃণমূলের যোগ্য উত্তরাধিকার বহন করবেন এবং প্রত্যেক ভারতীয়ের অধিকারের কথা বলে যাবেন।’

Advertisement

ঋতব্রতর প্রার্থীপদ পাওয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর বক্তব্য, ‘ঋতব্রত এই মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য। রাজ্য জুড়ে দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করা এবং ট্রেড ইউনিয়নের কর্মীদের জন্য তিনি নিরলস পরিশ্রম করেছেন। সময় লাগতে পারে, কিন্তু পরিশ্রমের দাম সব সময়ই পাওয়া যায়।’

Advertisement

গত সেপ্টেম্বর মাসে আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন জহর। সেই সঙ্গে নিজের সাংসদ পদেও ইস্তফা দেন তিনি। চিঠি লিখে তিনি মমতাকে জানান, ‘গত এক মাস ধৈর্য ধরে আরজি কর হাসপাতালের ঘৃণ্য ঘটনার বিরুদ্ধে সবার প্রতিক্রিয়া দেখেছি আর ভেবেছি, আপনি কেন সেই পুরনো মমতা ব্যানার্জির মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে সরাসরি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলছেন না। এখন সরকার যে সব শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা এককথায় অতি অল্প এবং অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।’ এই চিঠির ফলে অস্বস্তিতে পড়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যসভার ওই সাংসদ পদটাও ছিল শূন্য।

রাজ্যসভার উপনির্বাচনের প্রার্থী হওয়া ঋতব্রত একসময়ে বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সিপিআই(এম) দলের ছাত্র সংগঠন এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে সিপিআই(এম)-এর সমর্থনে রাজ্যসভার সাংসদ হন তিনি। কিছু বিতর্কিত ঘটনার জন্য তাঁকে সিপিআই(এম) দল সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করে। এর পরে বহুদিন নির্দল রাজনীতি করেছিলেন তিনি। তারপরে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। ২০২১ সালে তাঁকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন আইএনটিটিইউসি-এর রাজ্য সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।

Advertisement