• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

ডিএলএড প্রশিক্ষণরতদের নিয়োগের নির্দেশ

টেট উত্তীর্ণ ডিএলএড প্রশিক্ষণরতদের ২ হাজার ২০০ শূন্যপদে নিয়োগ করতে রাজ্যকে ৬ সপ্তাহের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

ডিএলএড প্রশিক্ষণরতদের প্রাথমিকে নিয়োগের রায় কার্যকর করতে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। টেট উত্তীর্ণ ডিএলএড প্রশিক্ষণরতদের ২ হাজার ২০০ শূন্যপদে নিয়োগ করতে রাজ্যকে ৬ সপ্তাহের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গত ৪ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পরও তা কার্যকর হয়নি। ফলে ফের মামলা করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। এবার সুপ্রিম কোর্টের কড়া নির্দেশে এই প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে ডিএলএড প্রশিক্ষণরতদের নিয়োগ নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদও নিয়োগের খসড়া প্রস্তুত করছে। আদালতের দেওয়া সময়সীমার মধ্যে নিয়োগ শেষ করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।

গত ৪ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট জানায়, টেট উত্তীর্ণ ডিএলএড প্রশিক্ষণরতদেরও প্রাথমিক শিক্ষকের পদে নিয়োগ দেওয়া যাবে। কিন্তু অভিযোগ, সেই রায় এতদিনেও কার্যকর হয়নি। ফলে ফের আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীরা। শুক্রবার বিচারপতি পি নরসিমহা এবং বিচারপতি অতুল এস চান্দুকারের বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। সেখানেই বোর্ডের আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত জানান, রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।আদালত বলে, আলোচনা করার কথা যখন বোর্ড বলছে, তখন এই আবেদনের কোনও মানে হয় না। তবে আদালত স্পষ্ট এও জানিয়ে দিয়েছে, শুধু আলোচনাই নয়, ৬ সপ্তাহের মধ্যে রায় কার্যকর করতে হবে। ডিএলএড প্রশিক্ষণরতদের নিয়োগে আর কোনও বিলম্ব বরদাস্ত করা হবে না তা স্পষ্ট করেছে আদালত।

Advertisement

প্রশিক্ষণরত প্রার্থীদের একাংশের আইনজীবী এস পার্দিওয়ালা, ৬ সপ্তাহ সময় বেঁধে দেওয়ার আবেদন করেন। প্রার্থীদের আর এক পক্ষের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং বলেন, ৬ সপ্তাহ পর ওদের আলোচনা শেষে আবার আমাদের আদালতে আসতে হবে ? তার জবাবে আদালত জানায়, ‘শুধু আলোচনা নয়, ৬ সপ্তাহের মধ্যে নির্দেশ কার্যকর করতে হবে।’ ২ হাজার ২০০ শূন্যপদ পূরণ হলে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থায় স্বস্তি ফিরবে বলে মনে করছে শিক্ষকমহল। বিশেষত যেসব স্কুলে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকের সংকট রয়েছে, সেখানে নতুন শিক্ষক নিয়োগ হলে পড়াশুনোর মান যেমন বাড়বে, পাশাপাশি স্কুল পরিচালন ব্যবস্থাতেও সুস্থিতি ফিরবে।

Advertisement

Advertisement