• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

হিমঘরে আলু সংরক্ষণের সময়সীমা বাড়ল ১ মাস

শনিবার হুগলির তারকেশ্বরে ব্যবসায়ী সমিতির অফিসে বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিদের নিয়ে আয়োজিত বৈঠকে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

-- ফাইল চিত্র

শনিবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্যে হিমঘরগুলিতে আলু রাখার সময়সীমা বৃদ্ধি করল কৃষি বিপণন দপ্তর। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভিনরাজ্যে আলু রপ্তানিতে জটিলতা না কাটায় ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে অনড় রইলেন রাজ্যের আলু ব্যবসায়ীরা। সোমবার রাত থেকে এই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। শনিবার হুগলির তারকেশ্বরে ব্যবসায়ী সমিতির অফিসে বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিদের নিয়ে আয়োজিত বৈঠকে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আলুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

কৃষি বিপণন দপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হিমঘরগুলিতে আলু রাখতে পারবেন সংরক্ষণকারীরা। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি বছর ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত হিমঘরে আলু রাখা যায়। কিন্তু চলতি বছর এই সময়ের মধ্যে হিমঘরগুলি খালি না হওয়ায় ও নতুন ফসল উঠতে কিছুটা সময় হাতে থাকায় আলু সংরক্ষণের সময়সীমা এক মাস বাড়ানো হয়েছে। ৩০ নভেম্বরের পরিবর্তে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হিমঘরগুলিতে আলু রাখতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু বাড়তি এই এক মাসের জন্য নির্দিষ্ট হারে বর্ধিত ভাড়া দিতে হবে। উত্তরবঙ্গের হিমঘরগুলির জন্য কুইন্টাল পিছু ১৯ টাকা ১১ পয়সা এবং দক্ষিণবঙ্গের হিমঘরগুলির জন্য ১৮ টাকা ৬৬ পয়সা বাড়তি ভাড়া দিতে হবে।

Advertisement

যদিও এই ঘোষণার পরেও চিন্তা কাটেনি ব্যবসায়ীদের। তাঁরা ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে এখনও পর্যন্ত অনড় রয়েছেন। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির এক সদস্যের দাবি, গত মরসুমে রাজ্যে আলুর উৎপাদন ভালো হয়েছে। নভেম্বরের শেষে হিমঘরগুলিতে যে পরিমাণ আলু মজুত রয়েছে সেই আলু ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। তাই ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেও হিমঘরগুলি খালি করা যাবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

Advertisement

প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য কমিটির উপদেষ্টা বিভাস দে বলেন, ‘যে পরিমাণ আলু মজুদ রয়েছে তা রাজ্যের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট। তা সত্ত্বেও রাজ্যের সীমানায়, এমনকি জেলার সীমানাতেও আলুবোঝাই গাড়ি আটকে দিচ্ছে পুলিশ। ফলে ভিনরাজ্যে আমরা আলু পাঠাতে পারছি না। ভিনরাজ্যে আলুর দাম বাবদ আমাদের বিপুল পরিমাণ টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে।’

Advertisement