তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে সদ্য বিজেপিতে যােগ দেওয়া প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে দেখে নয়, মানুষ ভােট দেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে। রবিবার মুর্শিদাবাদে একথা বলেন, রাজ্যের পুর ও নগরউন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
এদিন ঝটিকা সফরে জেলায় আসেন মন্ত্রী। এদিন তিনি মুর্শিদাবাদ ও জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জ পুরসভা এলাকায় একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস এবং উদ্বোধন করেন। মুর্শিদাবাদ পুরসভা এলাকায় একটি পার্কের উদ্বোধন ছাড়াও গৃহহীন মানুষদের জন্য গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের শিলান্যাস করেন।
জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জ পুরসভা এলাকায় আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত বৈদ্যুতিন চুল্লি, বাড়ি বাড়ি পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহ এবং ৩৬ টি সিসিটিভি ক্যামেরার উদ্বোধন করেন। জিয়াগঞ্জে শ্রীপৎ সিং কজে ময়দানে জনসভা করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সাংসদ আবু তাহের খান, বিধায়ক সুব্রত সাহা, শাওনি সিংহ রায়, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ রাজীব হােসেন প্রমুখ।
এদিন বড়ঞার জনসভা শেষে এবং বহরমপুর সার্কিট হাউসে ফিরহাদ হাকিম মুখােমুখি হন সাংবাদিকদের সঙ্গে। এখানেও তিনি শুভেন্দু অধিকারী থেকে দিলীপ ঘােষ, বিজেপি এবং মিম পার্টিকে আক্রমণ করেই বিবৃতি দেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এদিন বলেন, মানুষ ভােট দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, আন্দোলনের জন্য। মানুষ শুভেন্দু অধিকারীর জন্য ভােট দিত না। যদি শুভেন্দু অধিকারীকে দেখে ভােট দিত তাহলে ২০০১ এবং ২০০৬ সালে শুভেন্দু নিজে হেরে যেত না। তাই কারও জন্য ভােট হয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের জন্যেই মানুষের সমর্থন তৃণমূ কংগ্রেসের সঙ্গে আছে। সে কারণেই শুভেন্দু অধিকারী তৃমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে জিতেছিল।
দিলীপ ঘােষ দাবি করেছেন দুই মেদিনীপুরের সমস্ত আসনে বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হবেন। এর উত্তরে মন্ত্রী বলেন, দিলীপ ঘােষ যদি এটা ভেবে থাকে ভালাে। ওনার ভাবনা ওনার কাছেই থাক। বাস্তব হচ্ছে এটাই তৃণমূল কংগ্রেস গরীব, খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য লড়াই করছে। আগামীতেও লড়াই করবে।