জমি জটের কারণে বন্ধ সেতু নির্মাণের একাংশের কাজ

Written by Subhash Pal March 17, 2024 2:53 pm

অঙ্কিতা আচার্য, নদিয়া, ১৬ মার্চ— জমি জট৷ একাংশ বন্ধ গঙ্গার উপর সেতু তৈরির পিলারের কাজ৷ সম পরিমাণ জমি ও ক্ষতিপূরণের দাবি স্থানীয়দের৷ এলাকা পরিদর্শন বিধায়কের৷ সরকার সম পরিমাণ জমি এবং ক্ষতিপূরণ না দিলে উচ্ছেদ নয়, স্পষ্ট বার্তা বিধায়ক অম্বিকা রায়ের৷ স্থানীয়দের দাবি মেনেই হবে উচ্ছেদ, দাবি তৃণমূল নেতার৷ জমি জটকে কেন্দ্র করে শুরু রাজনৈতিক তরজা৷ নদিয়ার কল্যাণীর ঘটনা৷

নদিয়ার কল্যাণী-ব্যারাকপুর এক্সপ্রেসওয়ের ঈশ্বরগুপ্ত সেতুর পাশে চলছে নতুন সেতুর কাজ৷ সেতুর ঠিক নিচে কল্যাণীর মাঝেরচর দক্ষিণপাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই বসবাস করছেন বহু পরিবার৷ সেতু নির্মাণের কারণে ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করতে তৎপর হয়ে ওঠে স্থানীয় প্রশাসন৷ কিন্ত্ত বাসিন্দাদের বাধার মুখে পড়তে হয় প্রশাসনকে৷ বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত৷ ইতিমধ্যেই আদালত সম পরিমাণ জমি ও ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে৷

কিন্ত্ত সম পরিমাণ জমি ও ক্ষতিপূরণ না দিয়েই উচ্ছেদ করতে গেলে বাধে গণ্ডগোল৷ শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা৷ যদিও স্থানীয়রা জানান, কল্যাণী বুদ্ধপার্কের কাছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জমি দিলেও সেটি বাসযোগ্য নয়৷ অভিযোগ, সম পরিমাণ জমিও দেওয়া হচ্ছে না৷ এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা লতিকা মণ্ডল বলেন, ২ বিঘা জমিতে প্রায় ৩০টি পরিবার থাকে৷ সেতু নির্মাণের কারণে অন্যত্র জায়গা দিতে চায় প্রশাসন৷ কিন্ত্ত সেই জমি বাসযোগ্য নয় এবং সেখানে সম পরিমাণ জমিও দেওয়া হচ্ছে না৷ একই বক্তব্য আর এক স্থানীয় বাসিন্দা নীলিমা মণ্ডলের৷ তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশমতো সম পরিমাণ জমি না দিলে এবং ক্ষতিপূরণ না পেলে আমরা অন্যত্র যাবো না৷

এই খবর পেয়েই এলাকায় যান কল্যাণী বিধানসভার বিধায়ক অম্বিকা রায়৷ এলাকা পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তিনি৷ বিধায়ক অম্বিকা রায় বলেন, আদালতের নির্দেশ রয়েছে সম পরিমাণ জমি এবং ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বাসিন্দাদের৷ কিন্ত্ত সেই নির্দেশ মানছে না স্থানীয় প্রশাসন৷ তিনি আরো বলেন, সম পরিমাণ জমি এবং ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত আমি বাসিন্দাদের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবো৷
যদিও এই প্রসঙ্গে কল্যাণী বিধানসভার অন্তর্গত কাঁচরাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পঙ্কজ সিং বলেন, কোনো উচ্ছেদ হবে না৷ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি৷ বাসিন্দাদের দাবি মেনেই জায়গা দেওয়া হবে৷
তবে জমি জটের কারণে সেতু নির্মাণের কাজ একাংশ আপাতত বন্ধ৷