ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট, ক্ষতিপূরণ কেন পাচ্ছেন না কোভিড যােদ্ধারা

টানা দেড় বছরের বেশি মারণ ভাইরাস করােনার থাবায় রয়েছি আমরা।বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এই করােনার গ্রাসে। বাংলাতেও শয়ে শয়ে মারা পড়েছেন।

Written by মােল্লা জসিমউদ্দিন Kolkata | August 6, 2021 12:46 pm

প্রতীকী ছবি (Photo by SAM PANTHAKY / AFP)

টানা দেড় বছরের বেশি মারণ ভাইরাস করােনার থাবায় রয়েছি আমরা। সমগ্র বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এই করােনার গ্রাসে। বাংলাতেও শয়ে শয়ে মারা পড়েছেন। রাজ্য সরকার করােনা আবহে প্রায় একবছর আগে ঘােষণা করেছিল ‘প্রথমসারির কোভিড যােদ্ধাদের পরিবারের পাশে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। করােনা আক্রান্ত হলে ১ লক্ষ টাকা, পাশাপাশি করােনায় নিহতদের পরিবারগুলিকে এককালীন ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে’।

এই ঘােষণায় প্রথম সারির কোভিড যােদ্ধারা অর্থাৎ চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, বাসচালক প্রভৃতি পেশার মানুষজন করােনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আর্থিক নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়েছিলেন। তবে সেই সরকারি আশ্বাসের বিশ্বাস নিয়েই প্রশ্ন উঠলাে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিলের ডিভিশন বেঞ্চে।

করােনা বিষয়ক বিভিন্ন মামলার বৃহস্পতিবার শুনানি চলে। সেখানে মামলাকারীদের আইনজীবীরা প্রশ্ন তুলেছেন আদালতের কাছে যে, গত বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে অসংখ্য প্রথম সারির কোভিড যােদ্ধারা লিখিত আবেদন জানিয়েও কোন আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাননি।

প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের কাছে বিষয়টির বর্তমান অবস্থান জানতে চাইলে রাজা জানায় কোভিড যােদ্ধাদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেওয়া হবে। এই উত্তর শুনেই ক্ষুব্ধ আদালত জানায় – ‘এখনও দেননি টাকা? দিয়ে দেব বলার মানে কি?

এরপরই আগামী ১২ আগস্টের মধ্যে রিপাের্ট তলব করে আদালত। সেখানে রাজাকে জানাতে হবে-প্রথম সারির কোভিড যােদ্ধারা কতজন সরকারি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন? কতজন পেয়েছেন? বা কেন পাননি?

এই বিষয়ে বিশদ তথ্য জানাতে বলা হয়েছে রাজ্যকে। অপরদিকে করােনা টিকা নিয়ে আরেক মামলায় আইনজীবী শুভ্ৰপ্ৰকাশ লাহিড়ী আদালতকে এদিন ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ও মানসিক রােগীদের টিকাকরণ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের কোন উদ্যোগ নেই।

পাশাপাশি এইসব ব্যক্তিদের জন্য ‘দুয়ারে টিকা’ চালুর দাবি জানান আদালতের কাছে। আদালত অবশ্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য। সরকারগুলির কাছে এই বিষয়ে লিখিত অবস্থান জানতে চেয়েছে আগামী ১২ আগস্টের মধ্যে। ওই দিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।