বাস, ট্যাক্সি, মেট্রো নিয়ে কোনও সমস্যা নেই রাজ্য সরকারের সব সমস্যা লােকাল ট্রেন নিয়ে: দিলীপ ঘােষ

রাজ্যে লােকাল ট্রেন ছাড়া সব ধরনের পরিবহণই চালু। কিন্তু যে লােকাল ট্রেনের ওপর মানুষ সবথেকে বেশি নির্ভরশীল ঐ লােকাল ট্রেন চালু করতে রাজ্য সরকারের আপত্তি।

Written by SNS Bidhannagar | November 2, 2020 1:09 am

প্রতিকি ছবি (File Photo: iStock)

রাজ্যে লােকাল ট্রেন ব্যতীত সব ধরনের পরিবহণ ব্যবস্থাই চালু রয়েছে। কিন্তু যে লােকাল ট্রেনের ওপর সাধারণ মানুষ সবথেকে বেশি নির্ভরশীল, সেই লােকাল ট্রেন চালু করতেই বর্তমান রাজ্য সরকারের প্রবল আপত্তি চোখে পড়ছে সাধারণ মানুষদের। তার পরিপ্রেক্ষিতে বলা চলে রাজ্য সরকারের ধারণা অনুযায়ী একমাত্র লােকাল ট্রেন চালু হলেই কবােনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাবে। বাস, মেট্রো , ট্যাক্সি বা অন্য কোনও পরিবহণ বাবস্থায় করােনা সংক্রমণের কোনওরূপ আশঙ্কা নেই।

রবিবার রাজারহাট- নিউটাউন বিধানসভার জ্যাংরা হাতিয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মণ্ডল ৩ এলাকায় একটি চা চক্রের আসরে এসে লােকাল ট্রেন চালু করার প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তােপ দেগে একথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘােষ। একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকারের কানে তালা লাগানাে হয়েছে, তারা সাধারণ মানুষের দুঃখকষ্টের কথা সহজে শুনতে পায় না। সেই কারণেই এতদিন কেন্দ্রর তরফে লােকাল ট্রেন চালুর প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে বারংবার চিঠি পাঠানাে হলেও রাজ্য সরকারের তরফে কোনওরূপ জবাব পাঠানাে হয়নি।

সাধারণ মানুষ এতদিন ধরে লােকাল ট্রেন চালু করার কথা বললেও, সে বিষয়ে রাজ্য সরকার কোনওপ্রকার ভ্রুক্ষেপই করেনি। শেষমেশ যখন সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে আন্দোলনের পথ বেছে নিয়ে পথে নামল, পুলিশ অসহায় মানুষের উপর লাঠিচার্জ করল। তখন রাজ্য সরার নড়েচড়ে বসল।

সর্বোপরি বলা চলে এভাবে কোনও জিনিসের সুরাহা সম্ভব নয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করার কোনও রকম চিন্তাভাবনা নেই রাজ্য সরকারের। যে সাধারণ মানুষরা তাদেরকে ভােট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছে, তাদের যদি সবসময় আন্দোলনের পথ বেছে নিয়ে নিজেদের দাবি পূরণ করতে হয়, তবে সেই সরকারকে ক্ষমতায় রেখে সাধারণ মানুষের আদৌ কি কোনও লাভ আছে?

সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্ৰী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে দিলীপ ঘােষ বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কোনওদিনই গরিব মানুষদের বিষয়ে কোনও কিছু ভাবেননি। তিনি সেটা শুধু বাইরেই দেখান। আদতে তিনি যদি গরিব মানুষদের বিষয়ে কিছু চিন্তাভাবনা করতেন, তবে তিনি আয়ুষ্মন যােজনার ৫ লক্ষ টাকা তাদের হাতে পৌঁছতে বাধা দিতেন না এবং চাষিদের সাহায্যার্থে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে পশ্চিমবঙ্গের গরিবরা আরও গরিব হয়ে গেছে, বেশ কিছু মানুষ বাধ্য হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়তে।

সুতরাং যে বিষয়গুলির উপর নির্ভর করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভােটে জিতে এসেছেন, সেগুলি সাধারণ মানুষের কাছে পূর্বাপেক্ষা অনেক পরিষ্কার। সাধারণ মানুষদের হয়রানির জবাব সময় মতাে সাধারণ মানুষই ফিরিয়ে দেবে।