• facebook
  • twitter
Sunday, 14 December, 2025

নেপালের অশান্তিতে বাংলার পানিট্যাঙ্কি সীমান্তে অচলাবস্থা

আটকে শতাধিক ট্রাক ও ভারতীয় নাগরিক

নেপালে জেন জি আন্দোলনের জেরে অশান্ত পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। প্রতিবেশী দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার আঁচ এসে পৌঁছেছে বাংলার সীমান্তেও। দার্জিলিং জেলার পানিট্যাঙ্কি সীমান্তে শয়ে শয়ে ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। সোমবার দুপুর থেকে কার্যত বন্ধ সীমান্ত পারাপার। পরিচয়পত্র ছাড়া যাতায়াত একেবারেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে কয়েকগুণ।

ইতিমধ্যেই সীমান্তের দুই প্রান্তে সেনা ও আধাসামরিক বাহিনী যথেষ্ট সতর্ক। ভারতের পক্ষ থেকে এসএসবি সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে। অপর দিকে মোতায়েন রয়েছে নেপালি সেনা। সীমান্তে নাকা তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। প্রতিটি গাড়ি, ট্রাক ও যাত্রীদের নাম, পরিচয়পত্র যাচাই করা হচ্ছে। নামানো হয়েছে ডগ স্কোয়াডও। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পানিট্যাঙ্কি এলাকাতেও থমথমে পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, আন্দোলনের চাপে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন। কৃষি, আইন-সহ একাধিক দপ্তরের মন্ত্রীও পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার বিরতামোড়ে বিক্ষোভকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তায় নামেন। সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। পরিস্থিতি ঘিরে নেপালে জারি হয়েছে উত্তেজনা। কোনও রকম ঝুঁকি এড়াতে ইন্দো-নেপাল সীমান্তে ঘোষণা করা হয়েছে ‘হাই অ্যালার্ট’।

Advertisement

ওই অশান্তির কারণে সীমান্তের দু’পারে শয়ে শয়ে ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। শুধু ট্রাকচালকই নন, আটকে রয়েছেন বহু ভারতীয় পর্যটকও। তাঁদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে দার্জিলিং জেলা পুলিশ। ২৪ ঘণ্টার জন্য চালু করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম ও হেল্পলাইন। দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার প্রবীন প্রকাশ জানিয়েছেন, ‘আমরা সীমান্তে নাকা তল্লাশি চালাচ্ছি। এ পারে অশান্তির খবর নেই, তবে আমরা সতর্ক রয়েছি। নেপাল পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। কোনও ভারতীয় সমস্যায় পড়লে দার্জিলিং জেলা পুলিশের হেল্পলাইনে ফোন করলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে নেপালে আটকে থাকা ভারতীয়রা দ্রুত দেশে ফিরতে চাইছেন। হাওড়ার আমতার বাসিন্দা মলয় দত্ত বেড়াতে গিয়েছিলেন নেপালে। সোমবার দেশে ফিরে এসে তিনি বলেন, ‘নেপালের পরিস্থিতি ভয়ানক হচ্ছে। কাঠমান্ডুতে ছিলাম, কিন্তু অবস্থা দেখে তাড়াতাড়ি ফিরে আসতে হল।’

Advertisement